আজকের সিলেট

দক্ষিণ সুরমায় স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

সিলেটের মোগলাবাজারে স্ত্রীকে খুন করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে স্বামী। পরে ঘাতক শাহিদ আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোগলাবাজার থানাধীন কুচাই ইউনিয়নের শ্রীরামপুর দক্ষিনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

শাহিদ তার স্ত্রী লাকি আক্তারকে (২৬) মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে শাহিদ আহমদ মোগলাবাজার থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শাহিদ আহমদ ঐ গ্রামের মো. নূর মিয়ার ছেলে।

এদিকে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখা এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে মো. শাহিদ আহমদের সাথে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানাধীন আলীনগর সাকিনের মো. শামছুল হকের মেয়ে লাকি আক্তারকে (২৬) বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনমালিন্য ছিল। প্রায়ই স্বামী মো. শাহিদ আহমদ তাকে শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতন করত।

গত বুধবার (৩ মার্চ) রাতে লাকি আক্তারের স্বামীর সাথে তাহার ঝগড়া হয়। এসময় স্বামী শাহিদ আহমদ তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বসত ঘরের শয়ন কক্ষে স্বামী মো. শাহিদ আহমদ স্ত্রী লাকি আক্তারের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে এবং এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার মুখে বালিশ চাপা দেয়। লাকি আক্তারের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর পাষন্ড স্বামী মৃতদেহ পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে বসত ঘরের ড্রামে ঢুকিয়ে রাখে এবং দুই ঘন্টা পরে লাশ ড্রাম থেকে বের করে আবার শয়ন কক্ষের বিছানায় রাখে।

খবর পেয়ে মোগলাবাজার থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার পলাশ রঞ্জন দে’র নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফরিদ উদ্দিন খাঁন, এসআই শিপু কুমার দাস, এসআই মো. রেজাউল করিমসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে যান। এসআই শিপু কুমার দাস লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে শাহিদ আহমদ মোগলাবাজার থানায় এসে আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

খবর পেয়ে লাকি আক্তারের পরিবারের লোকজন চুনারুঘাট থেকে মোগলাবাজার থানায় এসে এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের প্রেক্ষিতে মোগলাবাজার থানার মামলা নং ০৪, তাং- ০৫/০৩/২১খ্রি: ধারা: ৩০২ পেনাল কোড রুজু পুর্বক এসআই শিপু কুমার দাসকে মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়।

আরও সংবাদ

Close