শীর্ষ খবর

রায়হান হত্যাকাণ্ডে পুলিশসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

৭ মাসের মাথায় রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে পিবিআিই। এতে এসআই আকবরসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে পাঁচ পুলিশ সদস্য সহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে চার্জশিটটি জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে একজন পলাতক রয়েছেন।

পিবিআই কর্মকর্তারা জানান- অধিকতর তদন্ত ও চলমান প্যান্ডামিকের কারণে মামলাটির অভিযোগপত্র দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে। বহুল আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র পিবিআই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পিবিআই দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে এসআই আকবরসহ ৫ পুলিশকে অভিযুক্ত করেছে।

তারা হলেন- বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ।

তাছাড়া আব্দুল্লাহ আল নোমান নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে; যার বিরুদ্ধে ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে।

পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা এক হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। আদালত পুরোদমে চালু হলে উপস্থাপন করা হবে।”

এখন করোনাভাইরাস মহামারীতে ভার্চুয়াল আদালতে সীমিত কার্যক্রম চলছে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী জানান, পিবিআই দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে আপাতত কোন অসংঙ্গতি চোখে পড়েনি। তবে অভিযোগপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র তুলার পর বিস্তারিত জানা যাবে। এরপর অভিযোগপত্র নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে গুরুতর আহত হন রায়হান নামের ওই যুবক। তাকে ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেক ই এলাহীসহ পুলিশ সদস্যরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।

ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, নগরের কাস্টঘরে গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান।

রায়হান হত্যাকাণ্ডের পরদিন ১২ অক্টোবর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্তের প্রেক্ষিতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত ৫ পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই কারাগারে আছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, টুআইসি এসআই হাসান আলী, এএসআই আশেক ই এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও ওইদিন ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী একজন। তাছাড়া বরখাস্ত অবস্থায় এসআই আব্দুল বাতেন ভুঁইয়া, এএসআই কুতুব আলী, ককনস্টেবল তৌহিদ মিয়া ও প্রত্যাহার অবস্থায় কনস্টেবল মো. সজীব হোসেনকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আরও সংবাদ

Close