শীর্ষ খবর
ঈদগাহে শুধুই নিরবতা

পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ পালন করবেন মুসলিম সম্প্রদায়। ঈদের দিনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হচ্ছে সকালে ঈদগায়ে নামাজ। ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নতুন কাপড় পড়ে, আতর মেখে দলে দলে ঈদগাহে যাওয়া। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই খোলা মাঠে আকাশের জড়ো হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। কিন্তু ২ বছর ধরে এ দৃশ্যের দেখা মিলেনি। করোনা মহামারির কারণে ঈদগায়ে ঈদের নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ঈদগায়ের বদলে মসজিদেই নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে।
একারণে ঈদের আগে তালা ঝুলছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহে। শুধু এবারই নয়, টানা তিন ঈদে ঈদগায়ে নামাজ আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মানুষজন। এবারও থাকছে না ঈদের দিনে ঈদগাহের সেই চিরচেনা কোলাহল আর শত-শত মুসল্লির মুখরতা।
প্রতিবছর ঈদ এলেই কয়েকদিন আগে থেকে শুরু হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। ধুয়ে মুছে, রং করে প্রস্তুত করা হয় জামাতের জন্য। কিন্তু গত ২টি ছিল পুরোপুরি ব্যতিক্রম। এবারও একই চিত্র। শাহী ঈদগাহে নেই কোন আমেজ। নেই কোন তোড়জোড়।
শুক্রবার পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সিলেটের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে। এতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। একই সময়ে হজরত শাহপরান (রহ.) মাজার মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। গাজী বুরহান উদ্দিন (রহ.) মাজার মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৯টায়।
বন্দর বাজারের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ঈদ জামাত। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায়, সাড়ে ৮টায় ও সাড়ে ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। একই এলাকার কালেক্টরেট জামে মসজিদে ঈদের জামাত সকাল ৭টায় ৮টায়, ৯টায় ও ১০টায় ৪টি ঈদ জামাত হওয়ার কথা। বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দারুস সালাম মাদ্রাসা মসজিদে ২টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। একটি সকাল ৭টা ১০ মিনিটে, দ্বিতীয়টি ৮টা ১০ মিনিটে।
এছাড়া সিলেট নগরীর প্রতিটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিন্ন আমেজে এবার উদযাপন হবে ঈদ। নামাজ আদায়ের পর থাকবে না কোলাকুলি! গত বছরের মতো এবারও ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় নয়, মসজিদে পড়তে হবে ঈদের নামাজ।
সিলেট নগর পুলিশ পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাতে মুসল্লিদের ১১ নির্দেশনা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, মহানগর এলাকায় এক হাজার ৪৫টি মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোনো ঈদগাহে বা খোলা ময়দানে ঈদের জামাত হবে না। তবে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে একাধিক জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করা যেতে পারে।





