আজকের সিলেট
গোলাপগঞ্জে বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ : আটক ৪
সিলেটের গোলাপগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাকে গণধর্ষণ করে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। এমন অভিযোগে ৪ জনকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী।
শনিবার (২২ মে) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের গণ্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটলে স্থানীয়রা তরুণীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত ৪ জনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটকৃতরা হলো- উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ গ্রামের লিলু মিয়ার ছেলে আব্দুল হাকিম (২০), দক্ষিণ কান্দিগাঁও গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে রাজন আহমদ (২২), খালপাড় গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে শিপন আহমদ (১৯) ও শাহপরান উপজেলার পীরের চক গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আক্তার হোসেন (২৩)।
জানা যায়, কয়েকমাস আগে সিএনজি অটোরিকশায় যোগে যাওয়ার সময় মুরাদপুরে ধর্ষিত তরুণীর সাথে আব্দুল হাকিমের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে মোবাইল নাম্বার আদানপ্রদান হয়। প্রায় ২মাস কথা মোবাইলে আলাপের মাধ্যমে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনার দিন দুপুরে প্রেমিক আব্দুক হাকিম তরুণীর সাথে যোগাযোগ করে বলে দেখা করার জন্য মুরাদপুর বাজারে আসার জন্য। এরপর তরুণী মুরাদপুর বাজারে আসলে একটি সিএনজি অটোরিকশা যোগে তরুণীকে নিয়ে গণ্ডামারা গ্রামের চরোরাগোল্লা নামক টিলার পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়।
এসময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রেমিক আব্দুল হাকিম বন্ধুদের ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসার কথা বলে। প্রেমিক আব্দুল হাকিমের ফোন পেয়ে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে এসে ঐ তরুণীকে সবাই জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে অভিযুক্তদের কাছ থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেন। এবং প্রেমিক সহ ৪ জনকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট নিয়ে যান। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান হস্তক্ষেপে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাদের সোপর্দ করেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফয়জুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি (মামলা নং- ২৩) দায়ের করা হয়েছে। আজ (রোববার) বিকেলে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। সেই সাথে ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।