আজকের সিলেট
লোহার পাইপ দিয়ে শিশু গৃহকর্মীকে পেটানো শাবি শিক্ষক স্বামীসহ কারাগারে
সিলেটে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী মাহমুদুল কাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাতে শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলায় আজ শুক্রবার (৩১ জুলাই) তাদের আদালতে নেয়া হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুরমা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় শিশুর ওপর নির্যাতন হচ্ছে এমন খবর ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান স্থানীয়রা। পরে কোতোয়ালী থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী মাহমুদুল কাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
খবর পেয়ে শিশুটির বাবা আবুল কাসেম রাতেই কিশোরগঞ্জ থেকে সিলেটে এসে অভিযুক্ত দুইজনের নামে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, তারা গত দুই সপ্তাহ ধরে ১২ বছর বয়সী শিশু গৃহকর্মীকে নানা অজুহাতে প্রচুর মারধর করছিলেন। কয়েক দিন আগে লোহার পাইপ দিয়েও নির্মমভাবে মেরে তাকে বাসায় আটকে রাখেনে। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার ঘরের দরজা খোলা পেলে ওই গৃহকর্মী পালিয়ে যায়। পরে পাশের বাসার আরেক গৃহকর্মীর সহযোগিতায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে নির্যাতনের কথা জানায়। পরে পুলিশ সুরমা আবাসিক এলাকার রেনেসা ১১ নম্বর বাসায় গিয়ে ওই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে। স্বামী-স্ত্রী দুজনই শাবির শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে ওসি সেলিম মিয়া বলেন, ‘গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। এরপর রাত ১২টার দিকে গৃহকর্মী শিশুটির বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানা হাজতে প্রেরণ করা হয়।’