শীর্ষ খবর

মারধোর ও ধর্ষণের রোমহর্ষক বর্ণনা দিল ধর্ষক মজনু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশ ফুঁসে ওঠার তৃতীয় দিনে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত মজনু (৩০)। সে ওই ছাত্রীকে কীভাবে পাকড়াও করে এবং যে হিংস্র আচরণ করেছে, সেই রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে র‌্যাব মজনুকে মিডিয়ার সামনে আনলে বেরিয়ে আসে তার ধারাবাহিক ধর্ষণের কথা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) তাকে আদালতে তোলার আগে আরও কয়েক দফা প্রাথমিক জিজ্ঞাসা করা হয়।

আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, মজনু রবিবার (৫ জানুয়ারি) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বিমানবন্দর সড়ক ধরে হাঁটছিল। এ সময় ওই ছাত্রীও পিঠে ব্যাগ নিয়ে হাঁটছিলেন। আগে থেকে এ এলাকাতেই বহু ধর্ষণের ঘটনা ঘটানোয় তার সাহসও ছিল বেশি। ঢাবির ছাত্রীকে দেখে অনুসরণ করে মজনু। পেছন পেছন হাঁটা শুরু করে। এক পর্যায়ে পেছন থেকে হিংস্র পশুর মতো ওই ছাত্রীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। তাকে জাপটে ধরে ঝোপের দিকে টেনে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রীকে একের পর এক চড়, ঘুষি মেরে দুর্বল করে দেয়। ওই ছাত্রী চেঁচামেচি শুরু করলে আবারও মারধর করা হয় এবং গলা চেপে ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ অবস্থায় ছাত্রী বিপর্যস্ত হয়ে জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরলে আবারও নির্যাতনের ইচ্ছা ছিল তার। তবে চেতনা ফিরলে সুযোগ বুঝে মজনুর কাছ থেকে পালাতে সক্ষম হন ঢাবি ছাত্রী।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে ধর্ষক মজনুকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব জানায়, তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। তার বাবা মৃত মাহফুজুর রহমান।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে নামার পর তাকে মজনু অনুসরণ করে। একপর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব মানুষের চেহারা ভুলতে পারি, কিন্তু ধর্ষকের চেহারা কখনো ভুলব না।’

ধর্ষককে গ্রেফতারের পর নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ছবি ওই ছাত্রীকে কিছুক্ষণ পর পর কয়েকবার দেখানো হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছবির লোকই ধর্ষক কিনা। ছবি দেখে প্রতিবারই ওই ছাত্রী বলেছেন, ‘এই লোকই ধর্ষক’।

আরও সংবাদ

Close