শীর্ষ খবর
সিলেটের বাজার থেকে গায়েব সয়াবিন তেল : গুদাম ভর্তি
সিলেটের বাজার থেকে গায়েব হয়ে গেছে সয়াবিন তেল। দোকানে গিয়ে নগদ টাকা দিয়েও মিলছে না তেল। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সিলেটে দাম বাড়ানো হয়েছে সয়াবিন তেলের। গত প্রায় দুই সপ্তাহ সময় ধরে চলছে এমন অবস্থা। সিলেটের ডিলার পয়েন্টে তেলের কোনো সংকট নেই বলে জানান মোদি দোকানি ও সয়াবিনের খুচরো বিক্রেতারা।
খুচরো ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেটে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে রেখেছে তেল কোম্পানিগুলোর কতিপয় ডিলার ও পাইকারি বিক্রেতা। অধিক লাভে তেল বিক্রির জন্য এমনটি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে কয়েকদিন টাকা দিয়েও সয়াবিন পাওয়া যায়নি ডিলার পয়েন্টে। বড় বড় দোকানগুলোতে সামান্য পরিমাণে তেল সরবরাহ করা হয়। ১০ কাটনের অর্ডার করলে দেওয়া হতো ৫ কাটন।
এমন অবস্থায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয় অভিযানে নামে।
অভিযানের ধারাবাহিকতায় সোমবার (৭ মার্চ) সিলেট নগরীর কালিঘাট এলাকার বিভিন্ন ডিলার পয়েন্ট ও পাইকারি বিক্রেতাদের গুদামে অভিযান চালান ভোক্তা অধিকার পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদলত। অভিযানকালে দোকানে সয়াবিন তেল সংকট দেখিয়ে গুদাম ভর্তি করে রাখার প্রমাণ পাওয়া যায়। এমন অপরাধের দায়ে কালিঘাটে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন আদালত।
এছাড়াও বোতলের গায়ের আসল দামের উপর টেম্পারিং করে বাড়তি দাম লিখে বিক্রি করার দায়েও কয়েকজন পাইকারি বিক্রেতা এবং ডিলারকে জরিমানা করা হয়।
এদিকে, সিলেটে বাজার তদারকিমূলক এমন অভিযান আজও (মঙ্গলবার) চালায় ভোক্তা অধিকার। দিনব্যাপী পরিচালিত পৃৃথক অভিযানে বিভিন্ন স্থানে দোকানগুলোতে মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ, নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রয় এবং টেম্পারিং করার অপরাধে মোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দ বাজারে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ২৮ হাজার, হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চৌধুরী বাজারে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১৫ হাজার ও মৌলভীবাজার জেলাসদরে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে সহায়তা করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এবং বাজার কমিটির সদস্যবৃন্দ। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় ভোক্তা অধিকার।
অভিযানকালে ব্যবসায়ীদের ভোক্তা-স্বার্থ সংরক্ষণ ও আইনকানুন মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচারণামূলক লিফলেট-পাম্পলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হয়।