শীর্ষ খবর

বিয়ানীবাজার ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে বিরামহীন প্রচারণা : ভিন্ন পথে বিএনপি জামায়াত

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ তফশিল ঘোষণা হয়নি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের। তবে আগামী নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এই সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন আগাম খবরে বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে আগ্রহী সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বসে নেই। নিজেদের নির্বাচনী মাঠ ঘোচাতে ব্যস্ত রয়েছেন বিরামহীন প্রচারণা, উঠান বৈঠকে।

তবে নির্বাচনকে ঘিরে বিয়ানীবাজারে ভিন্ন পথে রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থীরা। যেখানে আওয়ামী ঘরনার প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন চাইছেন, সেখানে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রতিযোগিতা অনেকটাই স্থবির। তাদের দল বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নিবেনা, এমন ঘোষনায় স্থানীয় বিএনপির প্রার্থীরা অনেকটা বেকায়দায়। যদিও দল নির্বাচন না করলে ভিন্ন প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই দলের অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৃণমূলের রাজনীতি শক্তিশালী করতে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপি। সরকার বিরোধী আন্দোলন ও মাঠের রাজনীতির সক্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে দলের সাবেক নেতারা কাজ শুরু করেছেন।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ধানের শীষ নিয়ে আলীনগর ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের দুই প্রার্থী নির্বাচিত হন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচিত হন তিলপাড়া ও মোল্লাপুর ইউনিয়নের দুইজন। অন্য সবগুলো ইউনিয়নের ধানের শীষের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন না। এসব বিষয় বিবেচনা করে এবং সরকারি দলের নির্বাচন কৌশল মাথায় রেখে সবগুলো ইউনিয়নের দলীয় প্রার্থী দেয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রেও দলের স্বার্থ দেখা হবে।

বিয়ানীবাজার উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মামুনুর রশিদ ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নে এএফএম আবু তাহের- বিএনপির এই দুই বর্তমান চেয়ারম্যান আবারও নির্বাচন করবেন, এরকম প্রায় নিশ্চিত। তিলপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান দলের মনোনয়ন চাইলে দেয়া হবে। না চাইলে দলীয়ভাবে এ ইউনিয়ন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য থাকবে বলে জানিয়েছেন সাবেক একাধিক নেতা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিয়ানীবাজারের আলীনগরে এবারও বর্তমান চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ এককপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন।

এছাড়া চারখাইয়ে বিএনপি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অহিদ আহমদ তালুকদার, জামায়াত থেকে মিলাদ আহমদ চৌধুরী, শেওলায় আখতার হোসেন খান জাহেদ একক প্রার্থী, দুবাগে এখনো কারো নাম শুনা যায়নি। তবে জামায়াত থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে পারেন মাহতাব আহমদ আর ফুলতলী সমর্থিত মাওলানা কমর উদ্দিন চৌধুরীও নির্বাচন করবেন।

কুড়ারবাজার ইউনিয়নে আবু তাহের এককপ্রার্থী হিসেবে এবারও নির্বাচন করবেন। মুড়িয়ায় স্বতন্ত্র থেকে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল খায়ের অথবা ফরিদ আল মামুন। এই ইউনয়িনে বিএনপি সমর্থক কোন প্রার্থী নেই।

মাথিউরায় কছির আলী আব্দুর রব এককপ্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন। তিলপাড়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও সাইফুল আলম খায়রুল নির্বাচন করতে আগ্রহী। মুল্লাপুরে এম এ মান্নান এবং লাউতায় বিএনপি থেকে কেউ নির্বাচন না করলেও জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রাথী দেলোওয়ার হোসেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপি দলের স্বার্থ রক্ষা করেই আগামী দিনের সিদ্ধান্ত নেবে। দলকে শক্তিশালী ও সুসংহত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে বিএনপি। ভিন্ন কৌশল নিয়েই তৃণমূল বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল। এক্ষেত্রে কেন্দ্র ও জেলার দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা মেনে দলের প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে।

আরও সংবাদ

Close