আজকের সিলেট
খাদিমে যুবক খুন : প্রেমিকাকে খুঁজছে পুলিশ
সিলেটের খাদিমে ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া নাইমের সাথে ফাম্মি নামের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা প্রেমগঠিত কারণে নাইমের বন্ধুরা পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
নাইমের বোন রুজি বেগম জানান, মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নাইমের বন্ধু সবুজ এবং রাব্বি তাকে ফোন করে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে বাসা ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হয়।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে নাইমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় এক অটোরিকশা চালকের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ খাদিম বিআইডিসি এলাকার কৃষি গবেষণা খামারের লেকের পাশ থেকে নাইম (২০) নামে ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করে। তার শরীরে ছুরিকাঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নাইমের বন্ধু সবুজসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহত নাইমের বাম হাতে ট্যাটু রয়েছে। সেই ট্যাটুতে (এন প্লাস এফ) লেখা রয়েছে। সেই সাথে বাম হাতে একাধিক পুরাতন ব্লেডের কাটা দাগ আছে।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে নাইমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসার তাগিদ দেয় নাইমের বন্ধু সবুজ ও রাব্বি। বন্ধুদের ফোন পেয়ে নাইম তার বোনকে দ্রুত ভাত দেয়ার জন্য বলে। একপর্যায়ে সে ভাত না খেয়ে বেরিয়ে যায়।
চিকৎসকরা জানিয়েছেন, নিহতের বুক, পিঠ ও হাতে ছোট-বড় একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরমধ্যে বুকের আঘাতটি বেশ গভীর হওয়াতে অতিরিক্ত রক্ত করণের নাইমের মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, পুলিশের একটি দল ফাম্মিসহ কয়েকজনকে সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের বেশ কিছু আলামত পেয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু বলা যাচ্ছে না।
তবে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। নাইমের বন্ধু সবুজসহ কয়েকজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কিছু পাওয়া গেলে তাদের আটক করা হবে। হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরতলির খাদিম বিআইডিসি এলাকার কৃষি গবেষণা খামারের লেকের পাশ থেকে রক্তমাখা অবস্থায় নাইম নামে ওই তরুণকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ নিহতের প্যান্টের পকেট থেকে পাওয়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলে স্বজনরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে লাশ শনাক্ত করেন। নাইম শাহপরাণ এলাকার প্রত্যাশা ১১৯ নং বাসার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় এসএস স্টিলের শ্রমিক।