শীর্ষ খবর

যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস পালিত

১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদদের জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

সিলেটসহ সারাদেশে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় প্রায় সবার কণ্ঠে ছিল অমর একুশের গান- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ শহীদ দিবসে শোকের আবহে অনেকে পড়েছেন কালো পোশাক।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ, শাজাহান খান ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের পক্ষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও ডা. হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. সায়েম খানও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, কূটনীতিক, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল, মুক্তিযোদ্ধা এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারাও দিবসটি উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিত্বকারী নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রেখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য ভিড় জমান।

সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে সিলেট জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসের কমসূচি শুরু হয়। এরপর সিসিক মেয়র, বিভাগীয় ও জেলা সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিলেট প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

মধ্য রাতে মানুষের শহীদ মিনারে মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও সকাল থেকে ধীরে ধীরে বাড়ছে মানুষের ঢল। বিদ্যমান কভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি সংস্থা থেকে সর্বাধিক ৫ জন প্রতিনিধি এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২ জন ব্যক্তি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। শহীদ মিনারের সকল প্রবেশপথে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন এবং তরল সাবান সরবরাহ করা হয়।

‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করছে।

আরও সংবাদ

Close