আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর
ইউক্রেনে সেনাসহ ৫০ জনের মৃত্যু : নাগরিকদের প্রতি যুদ্ধের ডাক প্রেসিডেন্টের
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বৈশ্বিক পরাশক্তি রাশিয়া।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন।
ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত, ক্রিমিয়া ও রাজধানী কিয়েভে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। পাল্টা প্রতিরোধের কথা জানিয়েছে ইউক্রেনও। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে রাশিয়ার পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করা হয়েছে।
সামরিক অভিযানের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় কমপক্ষে ৪০ সেনা ও ১০ জনের মতো বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমার জেলেনস্কির এক সহকারী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের সহকারী ওলেক্সি আরেস্তোভিচ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি জানি যে, ৪০ জনের বেশি (সেনা) নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আমি ১০ জন বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির বিষয়েও অবগত।’
এদিকে, ইউক্রেনে হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন রাষ্ট্র। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিযানকে ‘বিনা উসকানিতে হামলা ও অন্যায্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রাশিয়ার সেনাদের ফিরিয়ে নিতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অপরদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশকে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, যেকেউ চাইলে তার দেশকে অস্ত্র দিতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া জেলেনস্কি রাশিয়ার নাগরিকদের দেশটির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্যও আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার সকালের দিক ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যখন পুতিনকে আগ্রাসন বন্ধ করতে অনুনয় করেন ঠিক একই সময় এক টেলিভিশন ভাষণে পুতিন ডনবাসে অভিযানের ঘোষণা দেন।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রাশিয়ার হামলার জোরালো আশঙ্কার মধ্যেই কিয়েভে বিস্ফোরণের খবর সামনে এলো।