আজকের সিলেট

মা-বাবাসহ মৌসুমির বিরুদ্ধে পরোয়ানা : আমেরিকা আর রূপের ফাঁদে নিস্ব অনেকে

বিয়ের নামে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই যেন নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রফিকুর আর এম এ মুনিম দম্পতির। তাদের মেয়ে শারমীন সুরভী মৌসুমীকে একের পর এক বিয়ে দিয়ে এভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

অবশেষে এই দম্পতি ও তাদের মেয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম) আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তামিলের জন্য সংশ্লিষ্ট থানাপুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৩ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মৌসুমী সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট চুনাহাটি গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রফিকুর আর এম এ মুনিম ও ইমামা বেগমের মেয়ে। তার ফাঁদে পড়ে স্বপ্নের সমাধি হয়েছে অনেক যুবকের। খেসারত দিতে হয়েছে মামলার ঘানি টেনে। যেমনটি হয়েছে জাকের আহমদের জীবনে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মৌসুমী ও তার বাবা-মাকে অভিযুক্ত করে একটি দরখাস্ত মামলা (সিআর নং-১১/২০২১) দায়ের করেন মৌসুমীর ২য় স্বামী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে জাকের আহমদ। মৌসুমীর বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণার মাধ্যমে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগী জাকের আহমদ। আদালতের নির্দেশে সিলেট এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ মামলাটি (নং-৭(২)২১) রেকর্ড করে। পরে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সিলেট এয়ারপোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিকন্দর আলী আদালতে অভিযোগপত্র (৪৩৯) দাখিল করেন।

জাকিরের অভিযোগপত্রে উল্লেখ, মৌসুমী ও তার বাবা-মা প্রতারণামূলকভাবে ১৫ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কারের স্থলে এক লাখ টাকা পরিশোধ দেখিয়েছেন। এছাড়াও ২০ লাখ টাকার মুয়াজ্জল দেখিয়ে নিকাহনামা সম্পাদন করে প্রতারণা করেছে এ ৩ জন।

মামলা বিচারাধীন সময়ে আদালতের পিপি প্রথম স্বামী ডা. মো. ফরিদ আহমদের সঙ্গে মৌসুমীর বিয়ের কাবিননামা ও অর্থ-আত্মসাতকল্পে প্রতারণাপূর্বক তার বিরুদ্ধে দায়েরি পরিবারিক মামলার তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেন আদালতে। অবশেষে সব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত মৌসুমী ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্রতিরাতে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে স্বামীকে একরকম নির্যাতন করতেন তিনি। স্বামীকেও চাপাচাপি করতেন এসব ওষুধ খেয়ে তার সঙ্গে উন্মাদনায় মেতে উঠতে। কিন্তু স্বামী ধার্মিক পরিবারের সন্তান হওয়ায় যৌন উত্তেজক এসব বড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন। যা পছন্দ হতো না তার।

অভিযোগ রয়েছে- মার্কিন নাগরিকত্ব এবং নিজের রূপকে কাজে লাগিয়ে বিয়ের নামে একের পর এক প্রতারণা করে যাচ্ছেন মৌসুমী। বিয়েকে পুঁজি করে স্বামীদের কাছ থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নেয়াই সে ও তার বাবা-মার নেশা।

আরও সংবাদ

Close