আজকের সিলেট

সীমান্তে নিহতরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে নয়তো চোরাকারবারী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আবদুল মোমেন বলেছেন, সীমান্তে যারা মারা যাচ্ছে, তাদের অধিকাংশই চোরাকারবারি। সীমান্ত-হত্যা বন্ধে ঢালাওভাবে ভারতকে দোষারোপ না করে নিজেদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

শনিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০০৩ সালে ১৬৬ জন মানুষ সীমান্তে মারা গেছে। কিন্তু গত বছর মারা গেছে মাত্র ৩-৪ জন। যারা মারা গেছে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে কিংবা চুরি করতে গেছে। অবৈধভাবে প্রবেশ করা বন্ধ হলে সীমান্তে হত্যাও বন্ধ হবে।

তিনি বলেন, দেশের গ্যাস ভারতে বিক্রি করা হচ্ছে না। বিদেশ থেকে গ্যাস কিনে সেটি প্রক্রিয়াজাত করে সেই গ্যাস ভারতের কাছে বিক্রি করা হবে। এটি বাংলাদেশের জন্য সুখবর। নতুন একটি বাজার আমরা পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ভারতকে পানি ও গ্যাস দেয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে তথ্য বিভ্রাট রয়েছে। ফেনী নদীর পানির চুক্তির মাধ্যমে ভারতকে দায়বদ্ধতার মধ্যে ফেলেছে বাংলাদেশ। এটা বাংলাদেশের মহানুভবতা। আর আমদানিকৃত গ্যাস রূপান্তর করে ভারতের কাছে বিক্রি করা হবে। এতে বাংলাদেশই লাভবান হবে।

এর আগে একই ফ্লাইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সিলেট আসেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এ সময় বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক জাকির আহমদ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট রুহুল আনাম মিন্টু প্রমুখ।

আরও সংবাদ

Close