শীর্ষ খবর

ভিসেরা রিপোর্টও বলছে রায়হানকে খুন করা হয়েছে : অতিরিক্ত আঘাতে হয়েছে মৃত্যু

পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিন’র প্রথম ময়না তদন্ত’র পুর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও বিসেরা (বিষক্রিয়া) প্রতিবেদন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. শামসুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. শামসুল ইসলাম আরও জানান, সিআইডি (চট্টগ্রাম) কর্তৃক প্রেরিত বিসেরা প্রতিবেদনে দেখা যায়, মৃত্যুর পূর্বে রায়হানের শরীরে বিষক্রিয়ার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। সুতরাং অতিরিক্ত আঘাতের ফলে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর মূল অভিযুক্ত সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে সাতদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ২ টার দিকে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে তাকে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আওলাদ হোসেন। শুনানি শেষে বিচারক সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১১ অক্টোবর মারা যান নগরীর আখালিয়া বাসিন্দা রায়হান আহমদ (৩৪)। তার আগের রাতে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তামান্না আক্তার।

১১ অক্টোবর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রায়হানের প্রথম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে রায়হানের শরীরে শতাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। ভিসেরা রিপোর্টেও তা পাওয়া গেলো।

তবে হেফাজতে মৃত্যু আইন অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশনা থাকলেও প্রথম দফায় তা মানা হয়নি। পরে ১৫ অক্টোবর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ২য় দফায় আবারও রায়হানের ময়নাতদন্ত করা হয়।

নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর থেকে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। এ কমিটি অনুসন্ধানে ফাঁড়িতে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।

পরে ১৩ অক্টোবর থেকে লাপাত্তা হয়ে যান আকবর। তাকে গ্রেফতারে আন্দোলন গড়ে উঠে। গত ৯ নভেম্বর কানাইঘাট উপজেলার লক্ষী প্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে আকবরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও সংবাদ

Close