সারা বাংলা
গাছ ভয়ঙ্কর! রোপন বন্ধে গণস্বাক্ষর
পরিবেশের বন্ধু গাছ। মানুষেরও বন্ধু। কিন্তু সেই গাছই যদি প্রকৃতির জন্য, মানুষের জন্য আগ্রাসী-প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে তাহলে তা আতঙ্কের বিষয়।
এমনই এক প্রাণঘাতী গাছ পরদেশি ’ইউক্যালিপটাস’। এই গাছের প্রভাবে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। খেয়ে ফেলছে মাটির উর্বরা শক্তি। নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে এই ইউক্যালিপটাস গাছের কারণে ভবিষ্যৎ মরু প্রক্রিয়া শুরুর আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এসব কারণেই বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ‘ইউক্যালিপটাস’। কিন্তু আশঙ্কার কথা, নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও থেমে নেই ইউক্যালিপটাসের রোপণ।
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এই ইউক্যালিপটাস বৃক্ষরোপণ বন্ধের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বক্সী বাচ্চু।
দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বেলার রাজশাহী কার্যালয়ের সমন্বয়কারী তন্ময় সান্যাল, ডেইলি স্টারের দিনাজপুর প্রতিনিধি কংকন কর্মকার প্রমুখ।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন একটি ইউক্যালিপটাস গাছ ৪০ থেকে ৫০ লিটার পানি শোষণ করে মাটিকে নিরস ও শুষ্ক করে ফেলে। এছাড়াও মাটির নিচ থেকে গোড়ায় ২০-৩০ ফুট জায়গা নিয়ে চারিদিক থেকে গাছটি পানি শোষণ করে বলে অন্যান্য ফলদ গাছের ফলন ভালো হয় না। এ গাছে পাখির বাসা বাঁধে না। ইউক্যালিপটাস গাছের ফলের রেণু নিঃশ্বাসের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করলে অ্যাজমা হয়।