আজকের সিলেট
চলন্ত বাসে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় মামলা হলেও গ্রেপ্তার নেই : ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তরুণীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামী করে দিরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার মধ্যরাতে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া হাতেও আঘাত পেয়েছেন। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়। তিনি বলেন, মেয়েটি হাতে ও মাথায় আঘাত পেয়েছে। তবে আঘাত তেমন গুরুতর নয়। তবুও আমরা তার মাথার সিটিস্ক্যান করেছি। কিন্তু রিপোর্টে মারাত্মক কিছু পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটিতে রোববার সকালে ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। মানসিকভাবে সার্পোট দেয়ার জন্য আমরা তাকে ওসিসিতে নিয়েছি। এছাড়া তার নিরাপত্তা ও মানসিক কাউন্সিলং এর জন্য এটি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে জেলার নারী নির্যাতন ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটি।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি করে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে বক্তারা কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার সঙ্গে জড়িত বাসের চালক, হেলপারসহ সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পাঞ্চালী চৌধুরী, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, তাহের আলী, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আসাদ মনি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে সিলেট থেকে দিরাইর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সিলেট জ- বাস নং ১১০৭২৩ একটি যাত্রীবাহী বাসে আত্মীয়ের বাড়ি সিলেটের লামাকাজি থেকে নিজ বাড়িতে আসার জন্য দিরাইগামী বাসে ওঠেন ওই তরুণী।
বাসটি সন্ধ্যায় দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে আসলে ওই তরুণী ছাড়া গাড়িতে আর কোনো যাত্রী না থাকায় বাসের চালক ও হেলপার মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটি প্রাণ ভয়ে বাস থেকে লাফ দিয়ে সড়কে পড়ে যায়, গ্রামবাসী আহত অবস্থায় দিরাই হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।