শীর্ষ খবর
আড়তদারদের ‘কারসাজিতেই’ বাড়ছে চালের দাম : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ঘাটতি মেটানোর জন্য সরকার পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন চাল বিদেশ থেকে আমদানি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি গুদামে চাল কমে গেছে। গত বছর প্রায় ১৩ লাখ টনের মত খাদ্য ছিল, এ বছর সেটা কমে ৭ লাখ টনে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, এই যে ৫ থেকে ৬ লাখ ঘাতটি যদি না মেটাতে পারি, বাংলাদেশের মিলাররা, আড়তদাররা, জোতদাররা, যারা বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে, তারা চালের দাম বাড়ায় এবং এবারও তারা সেই কাজ করছে। মৌসুমের সময় তারা এখনও ধান কিনছে এবং ধান ও চালের দাম দুটোই বাড়িয়ে দিয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতসহ অন্য দেশ থেকে চাল আমদানির সুযোগ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলন, ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা যাবে। প্রাইভেট সেক্টরকেও সেই সুযোগ দেওয়া হবে। প্রাইভেট সেক্টর এবং সরকার ৫ থেকে ৬ লাখ টন চাল আনতে পারবে। এর বেশি হলে আমরা আর অনুমতি দেব না। যখনই ৬ লাখ টনের এলসি দেওয়া হবে, তারপর আর এলসির সুযোগ দেওয়া হবে না।
সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ‘সর্বাত্মক উদ্যোগ’ গ্রহণ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অতটা চালের ঘাটতি আমাদের নাই। কিন্তু এই সুযোগে মিলাররা নানা রকম কারসাজি করে চালের দাম বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। আমরা যদি চালের সরবরাহ বিদেশ থেকে নিয়ে আসি, আমার মনে হয় না খুব অসুবিধা হবে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে চাল আসা শুরু হয়েছে, ভারতে সঙ্গে সরকারিভাবে চুক্তি হয়েছে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম থেকেও চাল আনার চেষ্টা করা হবে। সব মিলিয়ে সরকারের পূর্ণ উদ্যোগ ও প্রস্তুতি রয়েছে চালের ঘাটতি মেটানোর জন্য। যেহেতু চালের দাম একটু অস্বাভাবিক বেশি হয়েছে, এ জন্য বিশেষ বিবেচনায় প্রাইভেট সেক্টরকে চাল আমদারি সুযোগ দেওয়া হবে। সরকারও চাল আমদানি করে ঘাটতি মেটাবে। যাতে একটি মানুষও কষ্ট না পায়। কেউ যেন ক্ষুধার্ত না থাকে, সেই নিশ্চয়তা আমি দিতে চাই।
গোপালগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিউটের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পূর্তকাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।