আজকের সিলেট
নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানীর শিকার না হয় : সিলেটে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স
সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসী কর্তৃক পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (০২ জানুয়ারি) উক্ত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ।
উক্ত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেম।
এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিসি প্রসিকিউশন (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান, পি.বি.আই সিলেট এর পুলিশ সুপার খালেদ-উজ-জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.এইচ.এম মাহফুজুর রহমান, মহানগর দায়রা জজ আদালত, সিলেট এর পি.পি নওসাদ আহমদ চৌধুরী সহ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসীর সকল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার, মেট্রোপলিটন পুলিশের এ.সি প্রসিকিউশন সহ এস.এম.পি-র সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ এবং বন বিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তাগণ।
সভায় অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমেন “ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়” শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
উক্ত সভায় সিএমএম, সিলেট পুলিশ কমিশনার এর উদ্দেশ্যে বলেন, কোর্ট মালখানা এবং থানা মালখানায় ব্যাপক পরিমাণ জব্দকৃত আলামত থাকায় সেই সকল আলামত সমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে নিলাম/ধ্বংসের মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে একটি টিম গঠন করে তদারকি করে আদালত-কে অবগত করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিলাম/ধ্বংসযোগ্য আলামত নিষ্পত্তি করা সম্ভব।
মাদকের মামলায় নমুনা আলামত রেখে অবশিষ্ট আলামত থানায় ফেলে না রেখে ধ্বংসের জন্য আবেদন করার জন্য প্রত্যেক থানার অফিসার ইনচার্জ-কে নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, আসামীদের পি.সি/পি.আর সঠিকভাবে যাচাই করে চার্জশীট দাখিল করতে হবে। তাছাড়া তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় পেন্ডিং গ্রেফতারী পরোয়ানাগুলো দ্রুত তামিলের নির্দেশনা দেন। করোনা পরিস্থিতি-তে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পূর্বের ন্যায় দায়িত্ব পালনের জন্য প্রত্যেক থানার ওসি ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় উপস্থিত সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ সভায় উপস্থিত সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ-কে অভিযোগপত্রে সাক্ষীদের মোবাইল নাম্বার সংযুক্তি, আসামীদের পূর্ব ইতিহাস সঠিকভাবে যাচাইকরণ সহ তদন্তের বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতির দিকে খেয়াল রাখতে প্রত্যেক থানার অফিসার ইনচার্জ-গণ-কে নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় উপস্থিত মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম প্রধান অতিথির বক্তব্যে উল্লেখ করেন, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট ব্যতীত কোন আসামীর জামিন শুনানীতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে মেডিকেল সার্টিফিকেট ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট দ্রুত প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ-কে তাগিদ করেন।
তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন অযথা হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে সমভাবে লক্ষ্য রাখার জন্য পুলিশ-কে সর্তক থাকতে হবে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান উক্ত কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।