আন্তর্জাতিক
বর্ষবরণের আতশবাজিতে প্রাণ গেল অসংখ্য পাখির
আমরা মানুষেরাই আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলছি। নানা উৎসবের নামে আতশবাজি, পটাকা ফাটানোতে মেতে উঠে বিপন্ন করছি পরিবেশ। নতুন বছরকে বরণের নামে রাতভর আতশবাজি পুড়েছে সারা বিশ্বে। এই আতশবাজির ক্ষতিকারক নানা উপাদান থেকে যাচ্ছে এই পৃথিবীতেই। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে আমাদের পরিবেশের উপর।
করোনা থেকে বেঁচে যাওয়া ইতালির মানুষ নতুন বছর উদযাপন করতে গিয়ে শতশত পাখির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। রোম শহরের এই ঘটনাকে ‘গণহত্যার’ সঙ্গে তুলনা করেছে প্রাণী অধিকার রক্ষার আন্তর্জাতিক সংগঠন আইওপিএ।
স্কাই নিউজের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রোমের প্রধান ট্রেন স্টেশনের কাছে অনেক পাখি পড়ে রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ স্টার্লিং পাখি।
ঠিক কী কারণে এত পাখি মারা গেল সে বিষয়ে ইতালি সরকার এখনো কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে প্রাণী সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আইওপিএ দাবি করছে, গাছগাছালি অঞ্চলে ব্যাপক হারে আতশবাজি পোড়ানোর কারণে পাখিদের এই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।
সংগঠনের মুখপাত্র লোরডানা ডিজিলিও বলছেন, ‘তারা ভয় থেকে মরতে পারে। বিকট শব্দ শুনে সবাই একসঙ্গে আকাশে উড়েছে। একে-অপরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে। জানালায় গিয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের তারে বেঁধেছে। ভুলে গেলে চলবে না, তারা হার্ট-অ্যাটাকেও মরতে পারে।’
অথচ করোনার প্রকোপ ঠেকাতে রোমে আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। রাত দশটা পর্যন্ত শহরে কারফিউ ছিল।
এই ঘটনার পর প্রাণীদের সুরক্ষার জন্য আতশবাজির বিক্রি নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছে আইওপিএ-এর ইতালিয়ান শাখা।