আজকের সিলেট
ডাউকি নদীতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতার লাশ : আটক ২
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের ডাউকি নদী থেকে শফিকুর রহমান নামের স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ।
আজ বুধবার (২০ ডিস্মেবর) দুপুরের দিকে থানা পুলিশ সদস্যরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
শফিকুর রহমান উপজেলার লাবু উত্তর পাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহিম আলীর ছেলে ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম আলী বাদী হয়ে ১০-১২ জনকে আসামি করে গত মঙ্গলবার রাতে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার নামীয় তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার জাফলং চা-বাগান এলাকার কেন্দু’র ছেলে স্বপন ও চাউরা খেল গ্রামের সংকর দে’র ছেলে অমূল্য দে এবং নয়া বস্তি গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে আব্দুর নূর।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে শফিকুর রহমান সহ কয়েক জন শ্রমিক ডাউকি নদীর জাফলং চা-বাগান এলাকায় পাথর উত্তোলন করতে যায়। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত এসে পাথর উত্তোলনে বাঁধা দেয় এবং তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়ে তাদের হাত থেকে বাঁচতে শফিকুর রহমানের সঙ্গে থাকা অন্য আরও পাঁচজন দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারলেও পানিতে পড়ে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে।
নিখোঁজের পর গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও সিলেটের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা যৌথভাবে চেষ্টা চালিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজেও তার কোন সন্ধান পায়নি।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুওে ডাউকি নদীতে শফিকুর রহমানের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই আব্দুল মান্নান ও আবুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার কওে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার এজাহার নামীয় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অপর আসামীদের যত দ্রুত সম্ভব আটক কওে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।