আজকের সিলেট

বন্দুক নিয়ে আরিফের উপর হামলার চেষ্টা : স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আটক

সিলেটে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের স্ট্যান্ড উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলাকালে মেয়র আরিফের উপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। এসময় এক যুবককে শর্টগান ও গুলিসহ আটক করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুরসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

জানা যায়, দুপুরে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে অভিযান চালায় সিলেন সিটি কর্পোরেশন। এসময় শ্রমিকরা তাদের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে পরিবহন শ্রমিক, সিসিকের কর্মচারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দিকে বন্দুক নিয়ে তেড়ে যায় ফয়সল আহমদ ফাহাদ  নামের এক পরিবহন শ্রমিক। সে নগরীর পীরমহল্লা এলাকার বাসিন্দা ও চৌহাট্টা পরিবহন স্ট্যান্ডের শ্রমিক। সে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে।

এসময় তাকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনার ব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটে বিদ্যুৎলাইন অপসারণ, ফুটপাত সংস্কার ও সড়ক সম্প্রসারণ কাজ চলছে। এই কাজ এখন সমাপ্তির পথে। চৌহাট্টা এলাকায় যখন ফুটপাতের কাজ শুরু করেছিলাম তখন এখানকার অবৈধ স্ট্যান্ড সরাতে বসেছিলাম। কিন্তু শ্রমিকরা বারবার টালবাহানা করছিলো।  শেষমেষ তারা সময় চেয়েছিলো। আমরা সময় দিয়েছি। তারা পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জায়গা চেয়েছে। আমি তাদের নগরের ভেতরে খালি জায়গা খুঁজতে বলেছি। এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।

মেয়র বলেন, আজ সকালে হঠাৎ করে তারা সড়কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি সাথেসাথে বিষয়টি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে জানাই। পরে কাউন্সিলর, ম্যাজিস্ট্রেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে এখানে আসি। এখানে আসার পর তারা আচমকা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। হামলা চালায়। এতে কাউন্সিলর, পুলিশসহ অনেকে আহত হয়েছেন। আমার দিকেও একজন বন্দুক নিয়ে তেড়ে এসেছিলো। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।

মেয়র বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নগরবাসীকে সোচ্চার হতে হবে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, কারো বাধায় উন্নয়ন কাজ আটকাবে না। উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

আরও সংবাদ

Close