শীর্ষ খবর

শিক্ষাখাতকে ধ্বংসের পায়তারা হচ্ছে : আন্দোলনে সিলেটের শিক্ষার্থীরা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষা পূনরায় চালু করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সিলেটের শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রয়ারি) দুপুর ১২টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা চৌহাট্টায় বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা প্রায় ১ ঘন্টা চৌহাট্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রনালয় বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এম.সি কলেজ গণিত বিভাগের মাস্টার্স পরীক্ষার্থী আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন নিন্টু মালাকার, দোয়েল রায়, শ্যামলী দাস, গোলাম কিবরিয়া, সৈয়দ আকমল হোসাইন, মোহাম্মদ হোসাইন, শাহ রোকনুজ্জামান রোখন, সৈকত ভৌমিক, তানজিনা বেগম, সাগর আহমদ, আব্দুল্লাহ আল তুহিন, একেএম জুমায়েল বক্স, মনিরা ইয়াছমিন, আব্দুল্লাহ আল শাহেদ, এনামুল ইমাম, উমা সরকার, আরএস শাওন, দেবল পাল, ফারজানা খানম জেবিন সহ আরো শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও ৫ শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, যেখানে সারা দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা থেকে শুরু করে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দেশের শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করার পায়তারা হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা- অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানান।

আগামী ২৭ ফেব্রয়ারি শনিবারের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে শনিবার বেলা ১১টায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচী, প্রতিকী পরীক্ষা পালন করা হবে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ আন্দোলনে সিলেটের বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এছাড়াও মানববন্ধন ও বিক্ষোভে এমসি কলেজ, দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, মদন মোহন কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, মঈন উদ্দিন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।

এময় শিক্ষার্থীরা জানান, ‘দেশের সর্বক্ষেত্রে যখন মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন তখন করোনার দোহাই দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের জীবনে অভিশাপ নিয়ে আসা হচ্ছে। একই সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের এবং মাস্টার্স চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা বাতিল করে শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করা হচ্ছে। এছাড়াও অটোপাস পদ্ধতি বা অনলাইন ক্লাস মাধ্যম তারা চান না বলেও জানান।’

‘শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন স্থবিরতা শিক্ষার্থীদের মনে হতাশা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে বলেও জানান তারা। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধিভুক্ত ৭ টি কলেজকে আলাদা ভাবে মূল্যায়ন শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য বলেও উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা।’

আরও সংবাদ

Close