সারা বাংলা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনাকাঙ্ক্ষিত ধারাগুলো সংশোধন সম্ভব
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে চলমান আলোচনা আর বিতর্কের মাঝেই আইনটি পর্যালোচনা করার সুযোগ রয়েছে। আলোচনা করে আইনের অনাকাঙ্ক্ষিত ধারাগুলো সংশোধন করা সম্ভব।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, কোনো আইনই সম্পূর্ণ নয়, নয় বিতর্কের উর্ধ্বে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ যেমনি আছে, তেমনি আছে অপ্রয়োগ। আর তাই প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটির প্রয়োজনীয় সংশোধন করে সংস্কার করা যেতে পারে।
কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মুশতাকের মৃত্যুর পর ডিজিটাল আইন নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছে, আমি বলতে চাই কেউ মুশতাককে পিটিয়ে মারেনি, তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আমিও তার মৃত্যুতে কষ্ট পেয়েছি।
সেমিনারে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক আইনটির অধিকাংশ ধারায় জামিন অযোগ্যতা, পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশের তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের ক্ষমতা থাকাকে এ আইনের দুর্বলতা হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, জনগণের মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা সুরক্ষায় সরকারের দ্রুত আইনের ২১, ২৫, ২৮ ও ৩৫ এ চারটি ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নিতে হবে।