আজকের সিলেটসারা বাংলাহবিগঞ্জ
সালিশে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সমাজচ্যুত : ডিসিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রামপুরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ আলীর পরিবারকে সমাজচ্যুত করার বিরুদ্ধে স্থানীয় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে আবেদন করেছিল ভুক্তভোগী পরিবার। সেই আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় রুলও জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গৌরাঙ্গ চন্দ্র কর ও দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়।
পরে গৌরাঙ্গ চন্দ্র কর সাংবাদিকদের জানান, মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ রামপুরা গ্রামের আবদুর রবের সভাপতিত্বে সমাজপতিরা সালিশ শেষে মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ আলীকে (৭৪) সমাজচ্যুত করার সিদ্ধান্ত দেয়। সামাজিক সব কর্মকাণ্ডে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া সুরুজ আলীর পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য, জ্বালানি গ্যাস, সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কোনো দোকানদার তাদের কাছে মালামাল বিক্রি করলে ওই দোকানদারকেও জরিমানা করা হবে বলে সালিশ থেকে জানানো হয়। সুরুজ আলী ও তার পরিবারকে কেউ সহযোগিতা করলে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও ঘোষণা দেয় সালিশ কমিটি।
ওই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেন সুরুজ আলী। ওই আবেদনে সাড়া না পেয়ে গত ১১ এপ্রিল তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, হবিগঞ্জের ডিসি, পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সমাজপতি আবদুর রব, শিবলু মিয়া, সুমন মিয়া, মোহন মিয়া, উত্তম কুমার রায়, অনু মিয়াসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়।
সৌজন্যে: সমকাল