আজকের সিলেট
বিয়ের কথা বলে সিলেটে এনে নারীকে গণধর্ষণ : গ্রেপ্তার ৪
বিয়ের কথা বলে সিলেটে এনে এক নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। আটকে রেখে তিন দিন ধরে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়। নগরীর পার্শবর্তী খাদিমনগর বুরজান চা-বাগানস্থ সুন্দর মরাকোণা টিলার উপরের একটি ছাউনি ভিতর তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়াপোর্ট থানা পুলিশ পৃথক অভিযান করে মঙ্গলবার রাতে ৪ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান করা হচ্ছে। নির্যাতিতা ওই নারীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিম বাদি হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে বুধবার থানায় মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, এয়ারপোর্ট থানার লাউগুল গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে মূলহোত জামেদ আহমদ জাবেদ, একই থানার ফড়িংউড়া গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে মোশাহিদ আহমদ, একই গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে ফয়সল আহমদ ও বাজারতল গ্রামের ইসরা হালিমের ছেলে রাসেল আহমদ।
বুধবার এসএমপি’র গণমাধ্যম শাখা থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল ফোনে রং নাম্বারের সূত্র ধরে জামেদ আহমদ জাবেদ নামের এক যুবক ভৈরত এলাকার ওই নারীকে (২৫) নানা প্রলোভন ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সিলেটে নিয়ে আসে।
দুই সন্তানের জননী ওই নারী গত শনিবার বাড়ি থেকে নগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় পৌঁছার পর সন্ধ্যায় তাকে খাদিমনগর বুরজান চা-বাগানের মরাকোণা টিলার ছাউনিতে নিয়ে যায় জাবেদ। সেখানে অবস্থান করছিল ফয়সল, রাসেল ও জৈন্তাপুরের শুক্কুরের বাজারের জামিল আহমদ।
নির্জন চা বাগান এলাকায় তাকে নিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে জাবেদ ভিকটিমের সাথে থাকা ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ব্যাগে ভর্তি কাপড় ও দরকারী কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। চার জন মিলে ওই সময় তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
গত রোববার সকালে ধর্ষণকারীরা ওই নারীকে স্থানীয় ৫ জনের কাছে তুলে দেয়। এরা হচ্ছে ফড়িংউড়ার মুজিবুর রহমানের ছেলে রুবেল, কামাল উদ্দিনের ছেলে ইমাম উদ্দিন, ইশরাক আলীর ছেলে ফারুক, ফুল মিয়ার ছেলে মোশাহিদ আহমদ, জামালের ছেলে আবুল। এই ৫ জন আবার পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
মঙ্গলবার সকালে ওই নারী পাহারায় থাকা মোশাহিদকে পানি পানের কথা বলে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে এক পথচারির সহযোগিতার তার বাড়িতে যোগাযোগ করেন। পরে থানায় গিয়ে ওই নারী মৌখিক অভিযোগ করলে তাৎক্ষনিক অভিযানে নামে পুলিশ। মঙ্গলবার প্রথমে জাবেদ ও মোশাহিদকে এবং পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে অপর দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার থানায় ৯ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. মফিজ উদ্দিন। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।