আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর
ভারতের উপকূলে আঘাত হেনেছে গুলাব, নিহত ২ : বাংলাদেশে নামলো হুঁশিয়ারি সংকেত
ভারতের অন্ধ্র ও ওডিশা উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। টুইটারে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অন্ধ্রের কলিঙ্গপত্তনম এবং ওডিশার গোপালপুরের মধ্যভাগ পেরিয়ে যেতে আরো তিন ঘণ্টা সময় লাগবে এই সাইক্লোনের। তবে ‘গুলাব’ ভারতীয় উপকূল অতিক্রম করায় বঙ্গোপসাগরে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে, অন্ধ্র উপকূলে নৌকা উল্টে মৃত্যু হয়েছে দুই মৎস্যজীবীর। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে একজন।
আইএমডি টুইটারে জানিয়েছে, কলিঙ্গপত্তনমের ২৫ কিলোমিটার উত্তর দিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড়। ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক জানিয়েছেন, উপকূলবর্তী সাতটি জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। গঞ্জাম, গজপতি, কান্ধামাল, কোরাপুট, রায়াগড়, মালকানগিরি, নবরংপুর– এই সাতটি জেলায় সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলে ঘূর্ণিঝড়। সেখানকার মানুষদের আপাতত ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘরে থাকার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শ্রীকাকুলামে ঢেউয়ের দাপটে নৌকা উল্টে যায়। ছয় মৎস্যজীবী সমুদ্রে পড়ে যান। দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজন সাঁতরে পারে এসেছেন। বাকি একজন এখনো নিখোঁজ। তার খোঁজ করছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। শ্রীকাকুলামের কালেক্টর সুমিত কুমার জানিয়েছেন, ‘আগামী ২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঝড়ের গতিবেগ ৯০–১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)–এর দু’টি দল এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকবিলা বাহিনীর চারটি দল জেলায় এসেছে পৌঁছেছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বৃষ্টি। জেলার ৯টি মণ্ডল বন্যাপ্রবণ।’
ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন কুমার পট্টনায়েক, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির সাথে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। পরে টুইটারে লিখেছেন সেকথা।
এদিকে, বাংলাদেশের চারটি সমুদ্রবন্দর থেকে নামলো ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কাছাকাছি দক্ষিণ উড়িষ্যায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করার জন্য বলা হয়েছে।