ভূমধ্যসাগরে সাগরে ট্রলারডুবি : প্রাণে বেঁচে ফিরলেন সিলেটের ৭ জন

তিউনিশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরো ৯ জন বাংলাদেশি। এরমধ্যে সিলেট বিভাগের ৭ জন রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে দেশে ফেরেন তারা। তবে বিমানবন্দরের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার দুপুরে তারা বিমানবন্দর থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানায় বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক।

এরা সকলেই অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পথে তিউনিশিয়ায় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হয়ে আইওএম এর মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন।

দেশে ফেরা নয়জনের মধ্যে হবিগঞ্জের ৬ জন। এরা হলেন, হৃদয় আহাম্মেদ (২০), আরমান মিয়া (২৪), আব্দুল বারিক (২৪), মোতাব্বির হোসেন (২২), ইলিয়াছ উদ্দিন (৩১) ও তাহির মিয়া (২৯)।

এছাড়া রয়েছেন সিলেটের সৈয়দ মো. আলী (১৯), শরীয়তপুরের রানা হাওলাদার (২০) এবং মাদারীপুরের মিরাজ হোসেন (২১)।

সিলেট জেলার পোনাইচক গ্রামের সৈয়দ মোহাম্মদ আলী (১৯) জানান, একই গ্রামের দালাল এনামুল হক এনাম ইউরোপের স্বপ্ন দেখিয়ে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে টুরিস্ট ভিসা দিয়ে সড়ক পথে কলকাতা নিয়ে যায়। সেখান থেকে বিমানে দিল্লি এরপর শ্রীলংকা সেখান থেকে কাতার, তুরস্ক হয়ে লিবিয়া যাই। লিবিয়া হয়ে সাগর পথে ইতালি রওনা হই। ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবলে জেলেরা আমাদের উদ্ধার করে তিউনিশিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

শরীয়তপুরের রানা হাওলাদর (২০) জানান, ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ২০১৮ সনে ভিজিট ভিসা নিয়ে সুদান নিয়ে যাওয়া হয় আমাকে। সেখানে ১০ দিন থাকার পর বিমানে সৌদি ও জর্ডান হয়ে লিবিয়া যাই। এক বছর লিবিয়াতে অবস্থানের পর দালালের মাধ্যমে সাগর পথে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা হই। ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে গেলে জেলেরা উদ্ধার করে তিউনিশিয়া পুলিশের হাতে তুলে দেন।