শীর্ষ খবর
জিয়া জাতীয় চার নেতা হত্যার পরিকল্পনাকারী : নাসিম
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এমপি মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশকে রাজনীতি শূন্য করতেই জিয়াউর রহমান জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। জিয়া এই হত্যাকাণ্ডের মূল খলনায়ক। তদন্ত কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানের বিচার করতে হবে। তা না হলে দেশের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থাকবে।
খন্দকার মোস্তাক বেঈমানি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেননি বলেই নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন। আজও সেই চক্রান্তকারীরা তাদের চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। তাই সকল চক্রান্ত রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এমপি মোহাম্মদ নাসিম জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। অন্ধকার থেকে এসেছে আলোর পথে বাংলাদেশ। এ সময় বগুড়াকে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত করতে তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মন জয় করে ক্ষমতায় এসেছে। তবে ক্ষমতায় আছেন বলে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই। এমন কোনো আচরণ করা যাবে না যাতে মানুষ কষ্ট পায়।
এ দিকে, সম্মেলনের প্রধান বক্তা ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দুর্নীতির বরপুত্র ও সন্ত্রাসের জন্মদাতা তারেক রহমান। সারা দেশে সে খুনের কারবালা তৈরি করেছিল হাওয়া ভবন থেকে। আজ সে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপির সময়ে বগুড়া ছিল সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহণ মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বগুড়া-৫ আসনের এমপি হাবিবর রহমান প্রমুখ।