আজকের সিলেট
দাবি মেনে নিল শাবি প্রশাসন : শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, আনন্দ মিছিল
অবশেষে শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি মেনে নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (৮ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম দাবি মেনে নেয়ার লিখিত ঘোষণা দেন।
দাবি মেনে নেয়ায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে প্রশাসন যে আন্তরিকতা ও বন্ধুসুলভ আচরণ করেছে তার প্রতি সাধুবাদ জানিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হল- আনুষ্ঠানিক রোড পেইন্টিংসহ অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, একাডেমিক কর্মকান্ড অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুমতি দেয়া হবে ও না দিলে লিখিতভাবে কারণ জানানো হবে, সমাবর্তনের সময় হল বন্ধ রাখার সময়সীমা কমিয়ে শুধুমাত্র ৮জানুয়ারি হল বন্ধ রাখার ব্যাপারে সমাবর্তন নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে, আবাসিক হলসমূহ ৩৬৫দিন খোলা থাকবে, ছাত্রীদের হলে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময়সীমা রাত দশটা পনের মিনিট ও সকালে সূর্যদয়ের ১৫ মিনিট পূর্বে ছাত্রীহল গেইট খুলে দেয়া হবে, টং দোকানগুলো বন্ধে কোন বিধিনিষেধ থাকবে না, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বাড়ানো ও দাম কমানোর ব্যাপারে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির ভেতর উদ্যোগ নেয়া হবে, আগামী জানুয়ারি হতে রাত দশটা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা রাখা হবে, সংগঠনগুলোকে ভেন্যু বরাদ্দ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে এবং যেইসব ভেন্যুতে অর্থ বরাদ্দের নিয়ম আছে তা মওকুফের ক্ষেত্রে আলোচনা করা হবে।
এদিকে, দ্বিতীয় ১০ দফা দাবি মেনে নিতে আগামী বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য গত ২০ নভেম্বর হল খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধনে ‘অনুমতি’ না নেয়ার অযুহাতে বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। এর প্রতিবাদে ২১নভেম্বর প্রক্টরের আচরণকে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরচারী আখ্যায়িত করে পুনরায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৮ দিন ধরে বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় সমাবর্তন ও শীতকালীন অবকাশে হল বন্ধের সিদ্ধান্তকে ঘিরে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন।