শীর্ষ খবর
বাংলাদেশে ভোট প্রদানের হার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন, বাংলাদেশে ভোট প্রদানের হার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। তাই আপনারাও নির্বাচনে ভোট প্রদান করে ভোটপ্রক্রিয়াকে সফল করুন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মিলার বলেন, হয়তো কিছু সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যথাযথ কাজ করে না। কিছু সময় এটি ত্রুটিপূর্ণ হয়ে থাকে। তবে এই ভোটপ্রক্রিয়াটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মার্টিন লুথারের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মার্টিন লুথার কিং ডে’ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে আজ ছুটির দিন। গণতন্ত্রে ক্ষমতা প্রয়োগের চ্যালেঞ্জগুলো মার্টিন লুথারের থেকে ভালো কেউ জানেন না। আর এ বিশেষ দিনটির কারণেই আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি।
ইভিএম সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দেখতে চেয়েছি। ইভিএম নিয়ে বেশ কিছু ব্যাপার জেনেছি এবং শিখেছি। ইসির দায়িত্বরত কর্মকর্তারা আমাকে ইভিএম প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন। এটি তারা ভোটারদের কাছেও ব্যাখ্যা করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে।
মিলার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হবে। এটি অংশগ্রহণমূলকও হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। যারা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, যারা ভোটে অংশগ্রহণ করতে চায় তাদের সে অনুযায়ী অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে বলে আশা করি।
আর্ল আর মিলার বলেন, এটি বেশ আশাব্যাঞ্জক যে রাজনৈতিক দলের পক্ষগুলো তারা একে অপরকে যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবেই মনে করছেন। যে দলই জয়ী হোক না কেন, তিনি হবেন ঢাকার পরবর্তী নেতা (জনপ্রতিনিধি)। ঢাকার অধিবাসী হিসেবে এটি বেশ আশাব্যঞ্জক যা আমি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। যা আমরা গত জাতীয় নির্বাচনেও করেছি। তারা নির্বাচনি পর্যবেক্ষক হোন না, তারা মূলত কূটনৈতিক কোরের সদস্য হবেন। তারা নির্বাচনের দিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেখবেন।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার।
এর আগে, বৈঠকটিতে সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলারের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলের আরও দুই সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রসঙ্গত, নতুন তারিখ অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দুই সিটির প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
