আজকের সিলেট

কোয়ারীতে মৃত্যুর মিছিল থামাতে হবে পুলিশ ফাঁড়ি

সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাথর উত্তোলন করায় শ্রমিকদের মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না।

এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ কোয়ারি ধসে পাথর শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি)। কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন সংলগ্ন কালাইরাগে ইউপি মেম্বার নুরুজ্জামান গংদের কোয়ারিতেই গর্ত ধসে প্রাণ হারান শ্রমিক রুবেল আহমদ (২৬)। এ ঘটনার পরপরই অসংখ্য শ্রমিক চাপা পড়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনও দিনভর যান্ত্রিক যান নিয়ে চাপা পড়া শ্রমিক উদ্ধারে চেষ্টা চালায়।

এমন অবস্থায় মৃত্যুকূপে নিরীহ শ্রমিকদের প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্য।

তিনি বলেন, পাথর সম্পদে ভরপুর ভোলাগঞ্জের শাহ আরেফিন ও কালাইরাগে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় কোয়ারির গর্তের মালিকরা ভিন্ন পন্থায় পাথর উত্তোলন করছেন। দিনের বেলা টাস্কফোর্সের অভিযান চলায় তারা হাজারো শ্রমিক লাগিয়ে রাতের আধারে পরিবেশ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ কারণে একের পর এক গর্ত ধস ও শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। রাতের আধারে পাথর উত্তোলন বন্ধে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার ফাঁড়ি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন।

ইউএনও আরও বলেন, পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের আগ পর্যন্ত কোয়ারি এলাকায় টাস্কফোর্সের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) কোয়ারিতে চারটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ২১টি গর্ত পানি ছেড়ে ভরাট করা হয়। এদিন বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযানে ৩১টি লিস্টার মেশিন ও সাত হাজার ফুট পাইপ ধ্বংস করা হয়। যার বাজার মূল্য অনুমানিক ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা হবে।

আরও সংবাদ

Close