ফেনীর নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর মামলায় গ্রেফতার সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসময় বিচারক বলেন, ‘উনি একজন ওসি। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তা কেমন করে সম্ভব!’
এর আগে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেনের আদালতে তার জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী মাসুমা আক্তার। এর আগে সোমবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আদালতে তোলা হয়।
শুনানিতে মামলার বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘মোয়াজ্জেম হোসেন একজন আইনের লোক হয়ে আইন অমান্য করেছেন। তার বিরুদ্ধে গত ২৭ মে গ্রেফতারি পরোয়ান জারি করা হয়। অথচ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থেকে তিনি পলাতক। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিনের মাথায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পলাতক থেকে সমস্ত পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে কলঙ্কিত করেছেন। আমরা তার জামিনের বিরোধিতা করছি।’
আদালতে তোলার আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে হাজতখানায় রাখা হয়। রোববার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার মোয়াজ্জেমকে সোমবার সকালে ফেনীর সোনাগাজী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য গত ৬ এপ্রিল মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নুসরাতের। ৬ এপ্রিলের দিন দশেক আগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত। থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন সেসময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।