শীর্ষ খবর

শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৩ কিশোর সংঘর্ষে নয়, পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে সংঘর্ষ নয়, বরং কর্মকর্তা ও আনসার সদস্যদের বেধড়ক মারধরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমানসহ ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে যশোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, দুইপক্ষের বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত সংঘর্ষ নয়, মারপিটেই তিন কিশোর নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছে। কেন্দ্রের মধ্যে কেউ অপরাধ করলে, সেখানে অভ্যন্তরীণ শাস্তির রেওয়াজ আছে। সেটি করতে গিয়ে ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকসহ ৯-১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। হতাহতের ঘটনায় স্বজনদের মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি বন্দি কিশোররা তুলে ধরে তাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা।

তারা জানায়, ঘটনার সূত্রপাত ৩ আগস্ট, ঈদের দুই দিন পর। শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আনসার সদস্য নূর ইসলাম কয়েকজন কিশোরের চুল কেটে দিতে চান। কিন্তু কিশোররা চুল কাটতে রাজি না হওয়ায় তিনি কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেন- ওই কিশোররা নেশা করে। এর প্রতিবাদে ওই দিন কয়েকজন কিশোর তাকে মারপিট করে।

আহত কিশোরদের দাবি, ওই ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ১৮ জন বন্দিকে রুম থেকে বাইরে বের করে আনা হয়। এরপর বিকাল ৩টা পর্যন্ত পালাক্রমে তাদের লাঠিসোটা, রড ইত্যাদি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়।

পালাক্রমে এভাবে মারপিটের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। পরে কয়েকজন মারা গেলে সন্ধ্যার দিকে তাদের লাশ যশোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহতরা হচ্ছে- বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার তালিবপুর পূর্ব পাড়ার নাঈম হোসেন (১৭), খুলনার দৌলতপুরের পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮) এবং বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের রাসেল হোসেন (১৮)। এর মধ্যে নাঈম ধর্ষণ এবং পারভেজ হত্যা মামলায় শিশু কেন্দ্রে ছিলো।

এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আরও সংবাদ

Close