শীর্ষ খবর
ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলা : যুবলীগ থেকে ৩ জন বহিষ্কার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার উপজেলা যুবলীগের তিনজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম (৪২), সদস্য আসাদুল ইসলাম (৩৫) ও সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা মাসুদ রানা। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলা যুবলীগ মাসুদ রানাকে বহিষ্কার করেছে এবং কেন্দ্র থেকে বাকি দুইজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ আজ শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হয়রানি, মাদক সেবনের অভিযোগ আনায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদেরকে আর কখনও আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গসংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হতে দেয়া হবে না।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম এবং তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় যে চারজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে দুইজন সরাসরি হামলায় সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
এর আগে গত বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি ভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। হামলার পর গতকাল ভোরের দিকে ওয়াহিদা খানম এবং তার বাবা ওমর আলী শেখকে উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ওয়াহিদা খানমকে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল ভর্তি করা হয়।
পরে ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গত রাতে প্রায় দুই ঘণ্টা অস্ত্রপচারের পর মিসেস খানমের জ্ঞান ফিরে।
ঘটনার পর পর তদন্তে নামে র্যাব ও পুলিশের যৌথ দল। পরদিন বৃহস্পতিবার দিনাজপুর ডিবি গোয়েন্দা পুলিশ ইউএনও’র বাসভবনের নৈশ প্রহরী পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এরপর তারা গোপন খবরের ভিত্তিতে ঘোড়াঘাট থেকে জাহাঙ্গীর ও মাসুদ রানা নামে আরও দু’জনকে আজ শুক্রবার ভোরে সন্দেহভাজন প্রধান আসামী আসাদুল হককে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নৈশপ্রহরী পলাশ ছাড়া বাকি তিনজনকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার তদন্তে এর মধ্যে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে এরইমধ্যে রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় ইউএনওদের নিরাপত্তায় ১০ জন করে অস্ত্রধারী আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শুক্রবার এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই।