শীর্ষ খবর
সঠিক পদক্ষেপ নেয়ায় দেশে খাদ্য সংকট হয়নি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কৃষিতে আমার নির্দেশনাই ছিল প্রচুর পরিমান খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। কোনভাবেই যেন খাদ্য সংকট না হয়। কারণ করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক ক্ষুধা-মন্দা দেখা দিচ্ছে। অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেবার কারণেই করোনার সময় আমাদের দেশে খাদ্য সংকট দেখা যায়নি।’
তিনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ ঢেউ এলে রাষ্ট্রের আবারো বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে। তিনি নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে থেকে প্রতিটি খাতে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আজ ১১ অক্টোবর, রবিবার সকালে সেনাবাহিনীর ৯টি ইউনিট এবং একটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাঝে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সাভার সেনানিবাসে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বেলন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সেনাবাহিনীর মতো বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে আরো সুসজ্জিতভাবে গড়ে তোলা হবে।’
পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক যুগোপযোগী করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেনাবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। কারো সাথে বৈরিতা নয়, শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করতে চায় সরকার। যার মূল লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই শান্তি। আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের সার্বিক উন্নতি। আমরা বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করতে চায় বাংলাদেশ। সংবিধানকে সমুন্নত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহায়তায় সচেষ্ট রয়েছে সরকার। করোনায় শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে স্থবিরতা বিরাজ করছে। করোনার কারণে অর্থনীতি যেন স্থবির না হয়, মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য শুরু থেকেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচলে বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি।’
এখনো করোনার প্রভাব আছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আশংকা করা হচ্ছে করোনার প্রভাব আরো দেখা দেবে। কারণে ইউরোপে নতুন করে দেখা দিচ্ছে। সেজন্য আমাদের আগেই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আমাদের অনেক টাকার প্রয়োজন হবে, মানুষকে অনেক ওষুধ দিতে হবে। অনেক ডাক্তার-নার্স লাগতে পারে। তাই আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। আমাদের নেহাত যতটুকু প্রয়োজন তার বেশি কোন পয়সা এখন খরচ করা চলবে না।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ স্ব স্ব ইউনিট অধিনায়কের হাতে পতাকা হস্তান্তর করেন।