সারা বাংলা
কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে রাস্তায় কুরআন পুড়ানোয় যুবক আটক
কুষ্টিয়ায় র্যাব -১২ এর কার্যালয়ের সামনের গলিতে রাজিব নামের এক নাস্তিকের কোরআন শরিফ অবমাননা, পুড়িয়ে ফেলার কারনে উওাল হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়াসহ সারাদেশ। তৌহিদী জনতার আন্দোলনের মুখে অবশেষে কোরআন অবমাননাকারী ওই কুখ্যাত যুবককে আটক করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজিব র্যাব ক্যাম্পের পাশে রাস্তায় কোরআন শরিফের পাতা ছিড়ে পুড়াতে থাকে পাড়াতে থাকে রাস্তা দিয়ে চলাচল কারি পথচারীদের চোখে পড়লে বিষয় টি জানা জানি হয়ে যায় পড়ে এর ফলে এলাকা ধর্মভীরু মুসলিম উলামারা কুষ্টিয়া সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। শাস্তির দাবীতে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ সভা ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
রাজীব কুষ্টিয়া শহরের কামরুজ্জামান আবুলের পুত্র ।
এ সময়ে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিছিল বের করে তৌহিদী জনতা। কুমারখালী ও খোকসায় সন্ধ্যায় পৃথক পৃথক প্রতিতবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে। অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তরা অভিযুক্ত রাজিবকে ফাঁসি দাবি করে।
কুরআন অবমাননাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতির মাধ্যমে এ শাস্তির দাবী করেন। সেই সাথে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতি প্রদান করেন, জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা আমীর অধ্যক্ষ খন্দকার একেএম আলী মুহসীন, সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক ফরহাদ হোসাইন, শাহজাহান আলী
মোল্লা, সেক্রেটারী অধ্যাপক আবুল হাশেম, আব্দুল গফুরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদে অধ্যক্ষ খন্দকার আলী মুহসীন বলেন, একটি মুসলিম রাষ্ট্রে, কোরআন অবমাননা কখনোই মেনে নেওয়া যায়না। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আটককৃত রাজীবের কঠোর শাস্তি দাবী করছি।
অপরদিকে হক্কানী দরবারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হক্কানী উলামায়েকেরাম ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এছাড়াও বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা ওলামা পরিষদ তারাও প্রতিবাদ সভা করেছে ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উলামা পরিষদের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল হামিদ এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল লতিফ খান, মুফতি রেজাউল, মাওলানা আব্দুল হাকিমসহ অন্যান্য উলামায়েকেরাম।