সারা বাংলা
পরকিয়া দেখে ফেলায় স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী
স্বামীর পরকিয়া দেখে ফেলায় গৃহবধূকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ গৃহবধুর পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখিপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড এলাকায়।
এ ব্যাপারে গত ২৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে গৃহবধূর ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গৃহবধূর স্বামীসহ তিন জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গৃহবধূ সালমার বাবার বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের কাইকারচালা গ্রামে। তার বাবার নাম সাহাবউদ্দিন। ১৬ বছর আগে সখিপুর উপজেলা সদরের পৌরসভা এলাকার ৩নং ওয়ার্ডে রিপন সিকদারের সাথে সালমার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সিহাব (১৩) নামে পুত্র সন্তান এবং রোজা (৮) নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী মাদকাসক্ত থাকায় প্রায়ই সালমাকে শারিরিক নির্যাতন করত।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়েছে, গৃহবধূর স্বামী রিপন সিকদারের সাথে বাসার ভাড়াটিয়া শিরিন আক্তারের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাকে কয়েকবার আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্বামীকে সর্তক করলেও সে কর্ণপাত করেনি। উল্টো বিষয়টি নিয়ে জানাজানি করার কারণে তাকে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দেয়।
তারই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর গৃহবধূর স্বামী ও তার প্রেমিকা মিলে রড দ্বারা মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে মগজ বেরিয়ে পড়ে এবং চাকু দিয়ে গলার শ্বাসনালী কেটে ফেলে। পরে বাড়ির আশে পাশের লোকজন তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
গৃহবধূর ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়ির লোকজনকে মৃত্যুর খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই তড়িঘড়ি করে তাকে দাফন করা হয়। এই এলাকায় প্রচার করা হয় যে গরুর শিংয়ের আঘাতে আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে। এলাকার রটানো ঘটনাটি ঠিক নয়। পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সখিপুর থানার এসআই(সেকেন্ড অফিসার)বদিউজ্জামান বলেন,থানায় মমালার কপি আসলে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মামলা গ্রহন করা হবে।