আজকের সিলেটসুনামগঞ্জ
যৌন নির্যাতন বিরোধী মানববন্ধনেই হেনেস্তার শিকার নারী
সুনামগঞ্জে যৌন নির্যাতন বিরোধী মানববন্ধনেই হেনেস্তার শিকার হলেন এক নারী। মানববন্ধন চলাকালে কয়েক বখাটে যুবক তার শ্লীলতাহানী করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী নারী বিকেলে মোবারক হোসেন নামের এক যুবকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে এ ব্যাপারে ধর্মপাশায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মোবারক হোসেন উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দয়ালপুর গ্রামের নোওয়াব আলীর ছেলে।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন, সেলবরষ ইউনিয়নের সুলতান উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল সানি (২৫) ও একই গ্রামের মিল্টন মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল জাহিদ পিয়ম (২২)।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদ ও কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজুয়ান আলী খান আর্নিক চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করেছে এমন অভিযোগ এনে এক নারী গত ১১ নভেম্বর ঢাকার ৯নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগ শামীম আহমেদ মুরাদকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগ শামীম আহমেদ মুরাদ ও রেজুয়ান আলী খান আর্নিকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধন বানচাল করতে অভিযুক্ত মোবারক হোসেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক নারীকে হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ওই নারী অন্য নারীর সহযোগীতায় উঠে দাঁড়ায়। পাশে থাকা আরেক নারী এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে মোবারক হোসেন তাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ হুমকি প্রদর্শন ও এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে। এ সময় মোবারকের সঙ্গে থাকা আব্দুল্লাহ আল সানি ও আব্দুল্লাহ আল জাহিদ পিয়েম ওই নারীকে শ্লীলতাহানী করে।
এতে উপস্থিত নারী ও পথচারীরা তাদের ধাওয়া করলে তারা সেখান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। নির্যাতিত নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে অভিযুক্ত মোবারক হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।