শীর্ষ খবর
এফআর টাওয়ারের নকশায় মানা হয়নি কোন নীতিমালা : দুদকের মামলায় আসামী ২৫
বনানীর এফআর টাওয়ার নির্মাণে নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
মামলায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন খাদিম, টাওয়ারের মালিক এসএম ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মুকুলসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর উল ইসলাম,রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেম ও কে এ এম হারুন, রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান, সাবেক অথরাইজড অফিসার-২ সৈয়দ মকবুল আহম্মেদ, সৈয়দ নাজমুল হুদা, সামছুর রহমান, সাবেক প্রধান ইমরাত পরিদর্শক মাহবুব হোসেন সরকার, সাবেক ইমারত পরিদর্শক আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী, নজরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (এস্টেট) রেজাউল করিম তরফদার ও আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, সাবেক পরিচালক (এস্টেট) শামসুল আলম ও আব্দুল্লা আল বাকী, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট) মুহাম্মদ শওকত আলী, সাবেক সহকারী পরিচালক শাহ মো. সামসুল আলম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক (এস্টেট) জাহানারা বেগম ও মোফাজ্জেল হোসেন, সাবেক পরিদর্শক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. এনামুল হক।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, অবৈধ নকশায় তৈরি বনানীর এফ আর টাওয়ার; ১৫তলা থেকে গড়ে তোলা হয়েছে ২৩ তলা বিশিষ্ট এই ভবন। ১৫ তলা নকশার অনুমোদনেও মানা হয়নি কোনো নীতিমালা। নেই ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের অনুমোদন। ১৮ থেকে ২৩ তলা নির্মাণের কোনো তথ্যই নেই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে। জমির মালিক ও ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি প্রশাসনের নাকের ডগায় নিজ সিদ্ধান্তে নির্মাণ করেছে বাকি পাঁচতলা। যারা আসামি হয়েছেন তারা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে ২৭ জন মারা যান।