আজকের সিলেট
ছিনতাই ও খুনের মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটে ফরহাদ হোসেন নামের এক কিশোরকে খুনের ঘটনায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থ দন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আরো একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) সিলেট জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরিফ উদ্দিন এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিলেটের ওসমানীনগর থানার রনাগলপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ (২০), সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার দূর্গাপুর গ্রামের শৈলেন্দ্র দাসের ছেলে অমল কুমার দাস (২৮), ঢাকা জেলার কদমতলা থানার শ্যামপুর পালপাড়া গ্রামের হরিপদ দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস (২৮)। রায়ের সময় তিনজনই পলাতক ছিলেন।
খালাসপ্রাপ্ত আসামী হলেন, সিলেট নগরের বিমানবন্দর থানার খাসদবির এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে ফরহাদ আহমদ (১৮)। রায়ের সময় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র ২০১২ সালের ৬ আগষ্ট রাতে সিলেট নগরীর মাছুদিঘির পারে প্রবাহ-৬০ নম্বর বাসার কলোনীর একটি রুমে জামালপুর জেলার সরিষা বাড়ি থানার বাইশি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ হোসেন (১৬)-কে নৃশংসভাবে খুন করে মৃতদেহ একটি কাঁথা দিয়ে ডেকে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোতয়ালি থনার লামাবাজার ফাঁড়ির এসআই খায়রুল ইসলাম বাদল বাদী হয়ে কোতয়ালি থানার হত্যা (মামলা নং ৯(৯)১২ ইং) দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে কোতোয়ালি থানার তৎকালিন এসআই রকিবুল হক ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) নং ১৮ দাখিল করেন। আদালত ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনাণী ও ২৭ সাক্ষির মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার তিনজনকে ৩০২ ধারায় দোষি সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন করাদন্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মফুর আলী ও আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট লাভলী আক্তার, এডভোকেট আব্দুস সোবহান, এডভোকেট আব্দুল মজিদ খাঁন।