শীর্ষ খবর
ভাসানচরে না যেতে অনেক ভয় দেখিয়েছে : কিন্তু আমরা ভালো আছি
ভাসানচরে এসে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রোহিঙ্গারা। তারা জানিয়েছেন, সেখানে আসার আগে অন্যরা তাদের নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। কেউ বলেছে তাদেরকে না খাইয়ে রাখা হবে। আবার অনেকে ভয় দেখিয়েছে, ভাসানচরে গেলে সাগরের অপদেবতারা তাদের খেয়ে ফেলবে।
ভাসানচরে আসা মোছা. জুলেখা বলেন, ‘অন্য রোহিঙ্গারা বলতো, ভাসানচরে গেলে সাগরের ভেতর থাকা অপদেবতা তোদের খাবে। বাঘ-ভাল্লুক খাবে। আবার অনেক রোহিঙ্গা তামাশা করে বলেছিল, ভাসানচরে গেলে তোমাদের হাড়হাড্ডি ভেঙে দেবে। অনেক ভয়ভীতি দেখিয়েছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা খুব সুন্দরভাবে এসেছি। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করেছেন।’
জুলেখার স্বামী মো. রইসুল বলেন, ‘ভাসানচরে নেয়ার সময় আমাদের অনেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলতো, সেখানে গেলে আমাদের না খাইয়ে মেরে ফেলবে। কিন্তু এ দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। তিনি আমাদের বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সহযোগিতা করেছেন এবং এখানে যদি আমাদের না খাইয়ে মেরেও ফেলে তাও আমাদের উনার (শেখ হাসিনা) প্রতি বিশ্বাস আছে। আল্লাহ আমাদের রিজিক দেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন ঝড়-বৃষ্টিতে বাংলাদেশে এসেছি, তখন এই দেশের সরকার আমাদের পাহাড়ের মধ্যে আশ্রয় দিয়েছে। এরপর আমরা ভাসানচরে আসার পর আল্লাহ অনেক ভালো রাখছেন। আল্লাহর কাছে আমরা শুকরিয়া আদায় করছি বারবার। মিয়ানমার সরকার আমাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আমাদের ঠাঁই দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
প্রথম ধাপে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে এসেছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬৮, নারী ৪৬৪ ও শিশু ৮১০ জন। গতকাল দুপুরে সেখানে পৌঁছালে তাদের সবার শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়। এরপর হাত ধুয়ে জেটি থেকে গাড়িতে করে তাদের আবাসস্থলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিশুদের চলাচলে সাহায্য করেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। ভাসানচরে পৌঁছে রোহিঙ্গারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।