শীর্ষ খবর
বঙ্গবন্ধুর চার খুনির ‘বীর’ খেতাব স্থগিত
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চার খুনির মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের খেতাব স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। আজ ১৫ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ খায়রুল আলম এই আদেশ দেন।
এ বিষয়ে গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের পক্ষে আইনজীবী আবদুল কাউয়ুম খানের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেয়া হয়। রিটে রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। রিটের শুনানি গতকাল ১৪ ডিসেম্বর, সোমবার হওয়ার কথা থাকলেও আদালত আজ শুনানির দিন ঠিক করেছিলেন।
ওই রিটে বঙ্গবন্ধুর খুনি শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নুর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দীন ওরফে মুসলেম উদ্দীন ওরফে হিরন খান ওরফে মুসলেম উদ্দিন খানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল চাওয়া হয়। এতে বিবাদী করা হয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও এই চার আসামিকে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ও গেজেটে দেখা গেছে, পলাতক ছয় খুনির অন্যতম ক্যাপ্টেন নূর চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর বিক্রম’, মেজর শরিফুল হক ডালিমের নামের সঙ্গে ‘বীর উত্তম’, রাশেদ চৌধুরীর নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দীন খানের নামের সঙ্গে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি রয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট এই তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। অথচ ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর এই চারজনসহ মোট ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন ঢাকার দায়রা জজ আদালত। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ রায় চূড়ান্ত করেন।
এরপর ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি রাতে পাঁচ খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ ও এ কে এম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। আর চলতি বছরের ১১ এপ্রিল রাতে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়।
এখনো পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নুর চৌধুরী কানাডায় রয়েছেন বলে সরকার নিশ্চিত হয়েছে। খন্দকার আবদুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে এখনো কোনো তথ্য নেই।