আজকের সিলেট
খালেদা জিয়া আউট, শেখ হাসিনা ইন হবেন : সিলেটে শাহজাহান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, আওয়ামী লীগ গনতন্ত্রের ভাষা বুঝেনা। যে ভাষায় তারা বুঝে সেটার সাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি করতে হবে। তিনি বলেন, আগামীতে নেত্রীর জামিন আবেদনের একটি তারিখ রয়েছে। এই তারিখে যদি মুক্তি না হয় সারা দেশে একযোগে আন্দোলন শুরু হবে। তিনি শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বলেন, জেলে একজনের ইন হবে, আরেকজন আউট হবেন। তাই রাস্তাটিকে এখন একটু গরম রাখতে হবে।
শনিবার বিকেলে সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কর্মসূচীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ মৃত্যু পথযাত্রী। তাঁর পরিবারের লোকজন দেখে এসে বলেছেন, খালেদা জিয়ার শরীর অনেক খারাপ হচ্ছে দিন দিন। কিন্তু তাঁর মনোবল অনেক শক্ত। যুবকদের আন্দোলনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমার বয়স এখন ৬৬ বছর। যুবকদের এখন সংগ্রাম করে যাওয়ার সময়। তারা যখন রাজপথে নামবেন তিনি নিজেও তাদের সাথে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পদপদবী নিয়ে লড়াই না করে বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলন তরান্বিত করতে সিলেটের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, সরকারের সাথে কোন আপোষ নয়। বর্তমান বিচার ব্যবস্থায় বেগম জিয়ার মুক্তি হবেনা জানিয়ে তিনি বলেন, শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, শুক্রবার তিনি(প্রধানমন্ত্রী) ভারতের কলকাতায় ঘন্টা বাজিয়ে ক্রিকেট খেলার উদ্বোধন করেছেন, এই ঘণ্টা বাজিয়েই এই সরকা্রের বিদায় হবে।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শামিম সিদ্দিকির পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ হক, ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, কেন্দ্রীয় সদস্য সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামিম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালি পঙ্খী, জেলা বিএনপির আব্দুল গফফার, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির হুমায়ূন কবীর শাহিন, জেলা বিএনপির কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগরের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামিম, জেলা বিএনপির সামিয়া চৌধুরী, মহানগর যুবদলের আহবায়ক নজিবুর রহমান নজীব, জেলা যুবদলের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, কৃষক দলের আহবায়ক শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, শ্রমিক দলের ইউনুস মিয়া, আরিফ ইকবাল নেহাল, মহিলা দলের সালেহা কবীর শেপী, ফজলে রাব্বি আহসান, দেলোয়ার হোসেন নাদিম।