সিলেটের টুকরো খবর

গোলাপগঞ্জের সমাজ হিতৈষী আলাউদ্দিনের ইন্তেকাল

গোলাপগঞ্জের সমাজ হিতৈষী আলাউদ্দিন বার্ধক্যজনিত রোগে গত ২৫ জুন মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন) ।

রাণাপিং আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে অসংখ্য মানুষের অংশগ্রহণে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর।

এ সমাজ হিতৈষীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি লেখক ফারুক আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্টের উপদেষ্টা ড. রেণু লুৎফা, ড আব্দুল আজিজ তকি, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল বাছিত, জেনারেল সেক্রেটারি আনোয়ার শাহজাহান, জালালাবাদ ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আব্দুল বাছির, সিলেট কালচারাল এন্ড হেরিটেজ একাডেমির বাংলাদেশ শাখার বায়েজিদ মাহমুদ ফয়ছল প্রমুখ।

মরহুম আলাউদ্দিন ১৯৪০ সালে রাণাপিং পরগণার গোয়াসপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মো আব্দুল বারী এবং মাতা মৌরা বিবি। করিমগঞ্জে মামার তত্ত্বাবধানে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন এবং ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর প্রাথমিক শিক্ষা অসমাপ্ত রেখেই বাড়িতে চলে আসেন এবং স্থানীয় রায়গড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সেষ করে এক পর্যায়ে পাকিস্তান মিলিটারিতে সৈনিক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন।

কর্মক্ষেত্রে পাকিস্তানিদের নানাবিধ শোষণ-বৈষম্য স্বাধীনচেতা আলাউদ্দিন মেনে নিতে পারেননি, তাই তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে বাড়িতে চলে এসে আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্রের নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়ে সিলেট মেডিকেল কলেজে নার্সিং পেশায় যোগদান করেন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজে কর্মকালীন প্রাইভেট মেট্রিক পরীক্ষা দিয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। সরকারি কাজে ন্যায়নিষ্ঠা, সময়ানুবর্তিতার প্রতিদান হিসেবে তিনি সরকার কর্তৃক সেবায় স্বর্ণ পদকে ভূষিত হোন।

তিনি শিক্ষানুরাগী ও প্রজ্ঞাবান শালিসি হিসেবে পুরো উপজেলায় ছিলেন সর্বজনবিধিত ব্যক্তিত্ব। ছিলেন একজন বিদ্যুৎসাহী। নিজ এলাকায় শিক্ষা ও সমাজ সেবায়ও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি রাণাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্টাদের একজন। কুতুব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়ও অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ছেলে ও ৫ মেয়ে রেখে গেছেন।

আরও সংবাদ

Close