প্রবাস
ইতালির রোমে বিশ্ব সিলেট উৎসব অনুষ্ঠিত
ইতালির রোমে উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব সিলেট উৎসব। গত রবিবার (২৭ অক্টোবর) জালালাবাদ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে রোমের স্থানীয় একটি গির্জা হলে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির সভাপতি অলি উদ্দিন শামীমের সভাপতিত্বে ও মাহিদুল ইসলাম মুকুলের সঞ্চালনায় উক্ত আনন্দ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. একেএম আব্দুল মুবিন। জালালাবাদ এসোসিয়েশনের এই আনন্দ-উৎসবে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিদের বক্তব্যের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে পিছনের সব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়ে দেশটি হবে সোনার একটি বাংলাদেশ।
ইতালির জালালাবাদ এসোসিয়েশন আয়োজিত বিশ্ব সিলেট উৎসবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রবাসীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছি যার নাম রাইপেন। এর মানে হলো রেমিট্যান্স কারণ আপনারা বাংলাদেশী প্রবাসীরা দেশে অর্থ প্রেরণ করার কারণেই কেবলমাত্র আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা এখন খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। এক সময় বিশ্বের কাছে দরিদ্র ও অভাবী দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে এখন আর কেউ না খেয়ে মরবে না। অর্থনৈতিক চাঙ্গাভাবের জন্য বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি আদর্শ।‘
তিনি বলেন, ‘প্রবাসী রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে রিজার্ভ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে সাড়ে ৩ বিলিয়ন রিজার্ভ ছিল এখন ৩৩ বিলিয়ন হয়েছে। আপনাদের জন্য রপ্তানি আয় অনেক বেড়েছে, আমরা এখন আর টানাটানির মধ্যে নেই। আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি।’
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার বলেন, ‘পাসপোর্ট নিয়ে আপনাদের যে সমস্যা আছে তা অচিরেই দূর হবে। আপনারা পাসপোর্টের সমস্যা নিয়ে আগে অনেক সমস্যায় পড়েছেন কারণ ইমেইলের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হতো। যারা কম্পিউটারে তেমন কিছু বুঝেন না তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে সমস্যা হতো বা অ্যাপোয়েন্টমেন্ট যদি আপনারা বাহিরে কারো সহযোগিতায় নিতেন তাতে ২/৪/৫ ইউরো খরচ হতো। আপনাদের কথা চিন্তা করেই আপনাদের সুবিধার জন্যই আমরা সে ব্যবস্থা বাদ করে দিয়ে আপনাদেরকে সরাসরি বাংলাদেশ দূতাবাসে এসে আপনাদের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা্র নিয়ম করেছি। আপনারা যখনই দূতাবাসে আসবেন, যে সমস্যা নিয়ে আসেন তা রোম বাংলাদেশ দূতাবাস আন্তরিকতার সাথে দেখবে।’
আরো বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ এসোসিয়েশন সভাপতি অলি উদ্দিন শামীম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক জিল্লু, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ ছোটন, বাহরাইন জালালাবাদ ত্রসোসিয়েশন ত্রর প্রতিষ্টাতা সভাপতি জনাব কয়েছ আহমেদ। অনুষ্ঠানে জালালাবাদ ত্রসোসিয়েশন ইউকের আরো উপস্হিত ছিলেন সহ সাধারণ সম্পাদক মুহিব উদ্দিন চৌধুরী, প্রচার, প্রকাশণা ও গণযোগাযোগ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, দপ্তর সম্পাদক শামীম আহমদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক শাহরিয়ার আহমদ সুমন, নির্বাহী সদস্যরা জাহাঙ্গীর খান, মোগাম্মাদ আব্দুল ওদুদ দীপক ও বাহার উদ্দিন সহ আরো দুই জন মহিলা সদস্য সহ জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইটালীর নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানেউপস্থিত ছিলেন ধূমকেতুর কর্ণধার নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু, সাবেক ইতালি বিএনপি’র সভাপতি শাহ তাইফুর রহমান ছোটন, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, নাপোলি শহর থেকে আসা জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও সামাজিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সমিতির নেতৃস্থানীয়রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।