শীর্ষ খবর
আওয়ামী লীগে বিশুদ্ধ রক্তের অভাব নেই
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগে দূষিত রক্তের দরকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চায় বিশুদ্ধ রক্ত। দূষিত রক্তের দরকার নেই। আওয়ামী লীগে বিশুদ্ধ রক্তের অভাব নেই।
ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মৌসুমি পাখিদের গুরুত্ব দেয়া যাবে না। দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। আন্দোলন সংগ্রামের সময় মৌসুমি পাখিদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
যারা দীর্ঘদিন দলে পদ পাননি, তারা পদ পাবে এমন কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু লোক আছে যারা নেতাদের পিছু পিছু ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু কোনো পদ পান না, তারা দল করেও পরিচয় দিতে পারেন না। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ করছেন, আওয়ামী লীগে কোনো পদ নেই, তাদের সামনে নিয়ে আসা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের অনেক নেতাকর্মী আছেন, যারা দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। কিছু নেতার কপাল খুলেছে। কিন্তু ত্যাগী নেতাদের অনেকেই এখনো কুড়েঘরে বসবাস করেন। ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে পারেন না। অনেকে অসুস্থ আছেন। চিকিৎসা করাতে পারছে না। দলের নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার দরজা খোলা। প্রয়োজনে তিনি বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। এ ব্যাপারে আপনারা আমাদের জানাবেন।
মাদক, দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। আগে ঘরের লোকের শাস্তি দেব। তারপর পরের লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা ঘরকে শাস্তি দিয়ে পরকে শেখাব।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও পারভীন জামান কল্পনা।
উল্লেখ্য, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ওই সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহিন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। পরে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এবারের সম্মেলনে ৪৫৫ জন কাউন্সিলর ও প্রায় ১১ হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।