আজকের সিলেটমৌলভীবাজার
কমলগঞ্জে দুই নারীকে গণধর্ষণ : আটক ৭
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিএনজি চালকসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার দেওড়াছড়া চাবাগান এলাকায় এ ‘গণধর্ষণের’ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী দুই নারীর একজনের আনুমানিক বয়স ২৪ ও অন্যজনের ২৮। বর্তমানে তারা মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আটককৃতরা হচ্ছে, আলমগীর হোসেন (২৫), রুবেল মিয়া (২৭), ইউসুফ আলী (৩৫), মো. সলিম মিয়া (২৬), রবিলাল উরাং (২০), পিতা- সবুজ উরাং, বিকাশ মুণ্ডা (২৩), আবু সুফিয়ান বাবুল (৪৫)।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি ওই দুই নারী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শহর থেকে একটি সিএনজিতে করে কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার যাওয়ার পথে ৭ জন যুবক দেওড়াছড়া চা বাগান এলাকায় সিএনজি আটক করে। এরপর তাদের মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হলে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার ভোর ৬টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগী দুই নারীর জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ৮টার দিকে ঐ দুই নারী মৌলভীবাজার শহরের পৌরপার্ক থেকে কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার যাবার উদ্দেশ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করেন। তাদের সাথে ৩ বছরের একটি শিশু সন্তান ছিলো। সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি কিছু দূর যাওয়ার পর ঐ দুইজন যাত্রী তাদের সিএনজিতে তুলেন চালক। এসময় ঐ দুই নারী চালককে নিষেধ করলে ও বাঁধা দিলে চালক জানায় তারা তার পরিচিত। চালক আরও বলেন, এরা বিপদে পড়ছে, সামনে গিয়েই নেমে যাবেন।
পরে কমলগঞ্জ যাওয়ার পথে দেওরাছড়া চাবাগানের এক নির্জন যায়গায় নিয়ে ঐ দুই নারীকে সিএনজি থেকে জোর করে নামিয়ে গণধর্ষণ করে। এ সময় তাদের সাথে আরও ৭/৮ জন যোগ দেয় বলেও জানা যায়। এসময় এক নারীকে ৭ জন মিলে এবং অন্য নারীকে দুইজন মিলে গণধর্ষণ করে তারা। এ সময় ধর্ষকের শিকার নারীর ৩ বছর বয়সী বাচ্চাটিকে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
পুলিশ আরও জানায়, ধর্ষণ শেষে এই দুইনারী কৌশলের আশ্রয় নেন, তারা চালককে বলেন যা হবার হয়েছে এবার আমাদের দিয়ে আসেন। চালক তাদেরকে নিয়ে আবার কমলগঞ্জের মুন্সীবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে, পথে রহিমপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদ খানের দোকানে সামনে পৌঁছানোর আগে এক নারী জানান তার একটু জরুরী কাজ আছে এই দোকানে একটু থামতে হবে। দোকানের সামনে থামানো মাত্র তারা চিৎকার শুরু করেন এবং চালক সিএনজি রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।