আজকের সিলেট

সিলেটে আটক ৯ নব্য জঙ্গি রিমান্ডে

সিলেট শহরতলীর আরামবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে নাশকতার প্রস্তুতিকালে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দলের’ আটক ৯ নব্য জঙ্গি সদস্যকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড চান। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বুধবার মধ্যরাতে ঢাকা থেকে আসা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা সিলেট মহানগর পুলিশের সহায়তায় ৯ জঙ্গিকে আটক করে। আটককৃতরা সিলেট বিভাগের দায়িত্বশীলসহ বিভিন্ন জেলা ও থানা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় সিলেট মহানগর পুলিশ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ জঙ্গি গ্রেপ্তারের তথ্য জানান।

রিমান্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিরা হলেন- বগুড়ার এরুলিয়া এলাকার বড় কুমিরা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান আকন্দের ছেলে মানিক আকন্দ ওরফে মেহেদী হাসান (৩২), নোয়াখালীর মাইজদী থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জহির উদ্দিন বাবর (২০), সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার থানাবাজারের মানিকপুর গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস আলীর ছেলে রাসেল আহমদ (২৪), কুমিল্লার বিবিরবাজার এলাকার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (২০), সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ঈদগাহ বাজারের খাফনা গ্রামের মুক্তাদির মিয়ার ছেলে কামাল আহমদ (২৫), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আলহেরা এলাকার শাহপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে তমিউদ্দিন সুমন (৩০), রাজশাহীর বাগমারা এলাকার চেওখালি গ্রামের কায়েম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৯), সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার এলাকার হায়দারপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে জুয়েল আহমেদ (২৪) ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার তুরস্তবাগ এলাকার নলুয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মো. স্বপন আহমেদ (২১)।

এদের মধ্যে মানিক আকন্দ ওরফে মেহেদী হাসান (৩২) আল্লাহর দলের সিলেট বিভাগীয় প্রধান ও বাকিরা বিভিন্ন জেলা ও থানা পর্যায়ের দায়িত্বশীল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. জেদান আল মুসা বলেন, জঙ্গিদের কাছ থেকে আরও তথ্য উদঘাটন করতে আদালতে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড চান। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যদিও এ বিষয়ে শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। কিন্তু এই পুরো বিষয়টাই অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের তত্ত্বাবধায়নে আছে।

আরও সংবাদ

Close