আজকের সিলেটহবিগঞ্জ
বৃদ্ধা মায়ের উপর স্ত্রীর নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন ইতালী প্রবাসী ছেলে
হবিগঞ্জে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতন ও বাসা দখলে নেয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন ইতালী প্রবাসী স্বামী।
আজ রোববার দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শহরের শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা মৃত সামছু মিয়ার ছেলে ইতালি প্রবাসী মাহবুবুর রশিদ সুমন মিয়া।
এ সময় পুত্রবধূর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার মা খায়রুন্নেছা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রায় ৮ বছর পূর্বে শহরতলীর সুলতান মাহমুদপুর এলাকার গোলাম হোসেনের মেয়ে শেফালী খাতুনকে বিয়ে করেন মাহবুবুর রশিদ সুমন মিয়া। এরপর থেকেই শেফালী সন্দেহজনক চলাফেরা করতে থাকেন।
মোবাইল ফোনে সব সময় বন্ধুবান্ধব নিয়ে ব্যস্ত থাকেন শেফালী খাতুন। একপর্যায়ে একাধিক যুবকের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। একবার নিজের খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে পালিয়েও যান। খোঁজাখুঁজি করে ১ সপ্তাহ পর তার সন্ধান পাওয়া যায়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইতিমধ্যে তাদের সংসারে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। তিনি ইতালী থাকার সুযোগে শেফালী তার মামা উমেদনগর গ্রামের আবদুল মান্নানকে বাসায় এনে ভাড়া দেন। আবদুল মান্নান ভাগ্নিকে প্ররোচণা দিতে থাকলে শেফালী স্বামীর অনুপস্থিতিতে শাশুড়ি খায়রুন্নেছাকে অত্যাচার-নির্যাতন করতে থাকেন।
তিনি জানান, আহত অবস্থায় তাকে বিভিন্ন সময় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় খায়রুন্নেছা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। শাশুড়ির অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেফালীকে থানা হাজতেও একদিন আটক থাকতে হয়। পরবর্তী সময়ে কৌশলে শাশুড়িকে ম্যানেজ করে অভিযোগ তুলে নিলে তাকে থানা থেকে ছাড়া হয়।
পরে মামা-ভাগ্নি মিলে তাদের বাড়ির একটি জাল দলিল তৈরি করে বাসা দখলে নেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করে। বিষয়টি মামলা-মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়ায়। শাশুড়িকে আবারও নির্যাতন শুরু করেন। এ সব ঘটনার প্রেক্ষিতে শেফালীকে তালাক দেন সুমন মিয়া।
তার পর আবদুল মান্নান ও তার ভাগ্নি শেফালীর বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেন। ওই মামলায় তারা হাজত খেটে আদালতে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। পরে শেফালী আদালতে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের পুত্রবধূর নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন খায়রুন্নেছা।