আজকের সিলেট

দক্ষিণ সুরমায় তরুণীকে গণধর্ষণ : প্রধান আসামী রিমাণ্ডে

আজকের সিলেট প্রতিবেদক: দক্ষিণ সুরমায় তরুণীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃত হাঙ্গীর আলম দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী (চেরাগী) গ্রামের আজিজুল হকের পুত্র।

বিশ্বনাথের তরুণী পপির পিতা শুকুর আলীর দায়ের করা মামলায় তাকে আটক করে র‌্যাব-৯ সদস্যরা।

র‌্যাব জানায়, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৯’র এএসপি সত্যজিৎ কুমার ঘোষের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানীনগর উপজেলার লামাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে জাহাঙ্গীরকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী (চেরাগী) গ্রামের মৃত আবদুল মন্নানের পুত্র ফয়জুল ইসলাম (২৮)’কে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ও ১৫ অক্টোবর রাতে একই গ্রামের মৃত মতছির আলীর পুত্র জাহেদ হোসেন (২২)’কে র‌্যাব গ্রেফতার করে।

তবে মামলার আরেক আসামী দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী (চেরাগী) গ্রামের আবদুল মনাফের পুত্র বারিক মিয়া (৩৭) পলাতক রয়েছে।

উল্লেখ্য, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী (চেরাগী) গ্রামে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাওয়া বিশ্বনাথ উপজেলার লালটেক গ্রামের হত-দরিদ্র শুকুর আলীর মেয়ে পপি বেগম (২১) গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়। ওই রাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার পর সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা দুই ব্যক্তি পপিকে জোরপূর্বক অন্যত্র নিয়ে যায়। এরপর পপির মুখ, হাত ও পা বেঁধে মারধর করে রাতভর গণধর্ষণ করে ভোররাতে তাকে তার বোনের বাড়িতে ফেলে যায়। ধর্ষণকারীেদের পপি চিনতে পারে। ১০ অক্টোবর পপি নিজ বাড়িতে ফিরে এসে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ফলে লোকলজ্জার ভয়ে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে আত্মহত্যা করে।

আরও সংবাদ

Close